Tuesday 15 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের চালু হচ্ছে ওএমএস কার্যক্রম, এবার তালিকা অনুযায়ী চাল বিক্রি


১৯ এপ্রিল ২০২০ ০৮:৩৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: স্থগিত থাকা ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) কার্যক্রম বা খোলাবাজারে চাল বিক্রি শিগগিরই শুরু হচ্ছে। তবে সবাই এবার এ সুবিধা পাবেন না। করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমজীবী কিংবা দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত- যারা আগে সরকারের কোনো সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধা গ্রহণ করেননি, কেবল তারাই এই সুবিধা নিতে পারবেন।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশজুড়ে চলছে তালিকা তৈরির কাজ। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ ২২ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরির কাজ শেষে হলে ওইদিন থেকেই চাল বিক্রি শুরু হবে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

ওএমএস কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সরকারের কমিটি রয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে চলে বিভাগীয় কমিটি আর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে চলে জেলা কমিটি। এই দুই কমিটি সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে। সেইসঙ্গে এই তালিকায় কোনো ধরনের অসঙ্গতি রয়েছে কি-না তাও কমিটি প্রধানরা যাচাই করে থাকেন। এবারও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় কেবলমাত্র সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় বসবাসরত কর্মহীন, দরিদ্র, হতদরিদ্র কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওএমএস কমিটি ওই তালিকা অনুমোদনের পর বরাদ্দ অনুযায়ী কার্ড তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যারা কোনো ধরনের সহায়তা পাচ্ছে না, বিশেষ করে সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত- এমন জনগোষ্ঠীই এই কার্ডের আওতায় আসবে।’

বিশ্বজুড়ে মহামারি রূপ ধারণ করা করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশপাশি সব ধরনের জনসমাগম এড়াতে সব ধরনের যোগাযোগ, শিল্প কারখানা, পরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলে কর্মহীন হয়ে পড়ে স্বল্প আয়ের লাখ লাখ মানুষ। তাদের সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি সমাজের সরকারি সুবিধা বঞ্চিত কম আয়ের মানুষ এই কর্মসূচির আওতায় আসবেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বেছে বেছে তাদের তালিকা তৈরি করে এই সুবিধা পৌঁছে দেবেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ‘এরই মধ্যে অনেক জেলায় তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে দেশের সবগুলো জেলায় তালিকা তৈরির কাজ শেষ হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয় চায় একটি সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হোক, যেখানে সত্যিকারের বঞ্চিতরা সুবিধা পাবেন। সব মিলিয়ে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে চাল বিক্রি শুরু করা যাবে। তবে যেসব জেলার তালিকা শেষ করে সুবিধাভোগীরা কার্ড হাতে পেয়েছে, সেসব জেলায় আগেই শুরু করতে পারবেন।’

খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫০ লাখ কার্ডধারী পরিবার ওএমএস বা খোলাবাজার কর্মসূচি থেকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতে পারবেন। একেকটি পরিবার ১০ টাকা কেজি মূল্যে সপ্তাহে ১০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। আর এ কাজে দুর্নীতি বন্ধে আদেশ জারি রেখেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আদেশে খাদ্য-পণ্য আত্মসাৎ করলে কিংবা করার তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে বলা রয়েছে।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিতে এপ্রিলের শুরুতে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১০ টাকা কেজি দরের বিশেষ ওএমএস’র চাল কিনতে দীর্ঘ লাইন থেকে করোনাভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা এবং কিছু জায়গায় চাল নিয়ে কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ ও ধরপাকড়ের মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল ওই কার্যক্রম স্থগিত করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এরপর কার্ডের মাধ্যমে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম ফের চালু করতে ১৬ এপ্রিল নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

১০ টাকার চাল ওএমএস করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস চাল বিক্রি

বিজ্ঞাপন

বরিশালে এনসিপির পদযাত্রা
১৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর