সাধারণ ছুটির বাইরে যেসব জরুরি সেবা
২৩ এপ্রিল ২০২০ ১৭:১৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার সাধারণ ছুটি বাড়িয়েছে আরও ১০ দিন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত এই ছুটি বহাল থাকবে। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সাধারণ ছুটির সময় অফিস-আদালত বন্ধ থাকলেও জরুরি সেবা এই ছুটির আওতায় থাকবে না। শুধু তাই নয়, ওষুধ শিল্পসহ উৎপাদন ও রফতানিমুখী সব ধরনের কারখানাই শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত সাপেক্ষে খোলা রাখা যাবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বর্ধিত ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, আগামী ২৬ থেকে ৩০ এপ্রিল এবং ৩ থেকে ৫ মে পর্যন্ত সময় সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। মাঝখানের ১ ও ২ মে’র (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- আরও ১০ দিন বাড়ল সাধারণ ছুটি
প্রজ্ঞাপনে জরুরি পরিষেবাকে সাধারণ ছুটির আওতামুক্ত উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরের (স্থল বন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্র বন্দর) কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির বাইরে থাকবেন।
কেবল পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহনই ছুটির আওতামুক্ত থাকবে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সড়ক ও নৌপথে সব ধরনের পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো, ভেসেল) চলাচল অব্যাহত থাকবে। এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, শিল্প পণ্য, খাদ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ছুটি প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা এই ছুটি বহির্ভূত থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে ওষুধ শিল্প উৎপাদন ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সব কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে উৎপাদন চালু রাখতে পারবে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো এবং গণপরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।
ছুটি চলাকালীন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনে ছুটির মধ্যেও বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশনা দেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।