Sunday 27 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এমবিবিএস ডাক্তার সেজে করোনা চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথে ডিপ্লোমাধারী


২৩ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২১ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২০ ২৩:২৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: হোমিওপ্যাথি মেডিসিনে ডিপ্লোমা পাশ করে এমবিবিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসক সেজে কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর চালু করেছেন ক্লিনিকও। দিব্যি দিচ্ছেন করোনার চিকিৎসা। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে তার প্রতারণার খবর উদঘাটন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার মেখল রোডের নাসরিন ভবনে কথিত এমবিবিএস ডাক্তার মোহাম্মদ সোলায়মানের (৬০) ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, চট্টগ্রাম হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৮৯-৯০ শিক্ষাবর্ষে হোমিওপ্যাথি মেডিকেল এন্ড সার্জারির ওপর ডিপ্লোমা পাশ করেন সোলায়মান। এরপর হাটহাজারী পৌর সদরে চেম্বার খোলেন। হঠাৎ করে ২০১৬ সালের দিকে তিনি নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন। একমাস আগে চালু করেন দুই শয্যার ক্লিনিকও।

ইউএনও রুহুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সোলায়মান শুধু এমবিবিএস ডাক্তার লিখেছেন এমন নয়। নিজের পরিচিতিতে যোগ করেছেন স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চ ডিগ্রীধারী ‘অধ্যাপক’, ‘এমফিল’, ‘পিএইচডি’সহ নিউরোলজি ও মেডিসিনের ওপর প্রশিক্ষণ ও ডিগ্রি। শুধু তাই নয়, দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর তিনি চালু করেছেন দুই শয্যার একটি ক্লিনিক। করোনার চিকিৎসা চলছে, এমন খবর পেয়ে সেখানে আমরা অভিযান চালাই। এতে বের হয় উনার সব প্রতারণার তথ্য। ’

অভিযানে নিজের মধ্যে করোনার সংক্রমণের সন্দেহে থাকা দুই রোগীকে ক্লিনিকটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন ইউএনও।

ইউএনও রুহুল আমিন জানান, সোলায়মানের বয়স, স্বাস্থ্য ও করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকটি বন্ধ করা হয়েছে। দুই রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

অভিযানে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সৈয়দ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোসাইন ছিলেন।

করোনা করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর