Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লকডাউন অমান্য করে সালিশ, সংঘর্ষে আহত ৮


২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৩৪

রাজবাড়ী: লকডাউন অমান্য করে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন আলীর ডাকা সালিশ বৈঠকে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৮ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নবাবপুর ইউনিয়নের দিলালপুর গ্রামে চেয়ারম্যানের উপস্থিতেই এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- দিলালপুর গ্রামের পান্না বেগম (৩৫), নুরজাহান বেগম (৭০), মো. নিরুজ মোল্লা (৩৫), হিরণ শেখ (৫০), ইসলাম মোল্লা (৩০), রাসেল শেখ (৩০), হারুন শেখ (৪০) ও ওরফিক শেখ (২০)। এদের মধ্যে নিরুজ মোল্লাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাকিদের বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- বহরপুরের নিরু ও শাজাহান এবং দিলালপুরের ফারুক ও ফরহাদ।

বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত হিরণ শেখ বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রতিবেশী মজিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আলী মজিদের বাড়ির পাশে বাগানে সালিশের আয়োজন করে আমার ও আমার পরিবারের লোকজনকে ডাকেন। আমরা সালিশে গেলে চেয়ারম্যান এবং এলাকার মেম্বার মাসুদ ও চায়না বেগমের সামনেই মজিদের ভাড়া করা লোক দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের কোপানো শুরু করেন।’

নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন আলী বলেন, “দিলালপুর গ্রামের হিরণ শেখ ও মজিদ শেখের মধ্যে জমি নিয়ে একটি ঝামেলা ছিলো। বৃহস্পতিবার হিরণ শেখের স্ত্রী পান্না বেগম মজিদ শেখ ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য গ্রামের কয়েকজন লোক আমাকে অনুরোধ করেন। সালিশে উভয় পক্ষের দু’জন করে লোক থাকবে এই শর্তে আমি বসতে রাজি হই। দুপুরে সালিশ চলাকালে মজিদ শেখের পক্ষে নিরু ও শাজাহান উসকানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকলে মারামারি শুরু হয়ে যায়। পরে আমি সেখান থেকে চলে আসি।”

বিজ্ঞাপন

বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (একেএম) আজমল হুদা বলেন, ‘চেয়ারম্যান সালিশের আয়োজন করেছেন এটা আমাদের আগে জানাননি। সালিশের সময় সংর্ঘষ শুরু হলে তখন আমাদের বিষয়টি তিনি ফোনে জানান। পরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় চার জনকে আটক করা হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের সময় সালিশ ডাকাটা উচিত হয়নি। সালিশের জন্য একজন আমার কাছে অনুমতি চাইতে এসেছিলেন, আমি অনুমতি দেইনি।’

চেয়ারম্যান রাজবাড়ী সংঘর্ষ সালিশি বৈঠক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর