ঢাকা: এখনও দেশের তৈরি পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এমন পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকদের জোর করে গ্রাম থেকে না আনার পরামর্শ দিয়ে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিজিএমইএ’র ওয়েবসাইটে দেওয়া মালিকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সদস্যদের উদ্দেশ্যে কারখানা খোলা বা বন্ধ বিষয়ক ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অর্থনীতি সচল রাখতে সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা বিজিএমইএ দেবে। সেই নির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছে, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শুরুতে কারখানা সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। ফলে প্রথম ধাপে কারখানার আশপাশে যেসব শ্রমিক থাকে, তাদেরই কাজে যোগদান করতে বলা যাবে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় কোনো শ্রমিক ছাটাই না করার অনুরোধ করছে বিজিএমইএ। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতিতে কোনো শ্রমিককে অসমর্থিত ও অনুপযুক্ত উপায়ে ঢাকা নিয়ে আসা হলে সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ কোনো সহায়তা করবে না বলেও ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে কয়েক দফা বাড়ানোর পর সাধারণ ছুটি ৫ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এসময় পর্যন্ত বন্ধ থাকবে গণপরিবহনও। তবে এরই মধ্যে আবারও খবর এসেছে চাকরি বাঁচাতে শ্রমিকরা রাস্তায় রয়েছেন। অনেক কারখানা থেকে ফোন করে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ’র এই নির্দেশনা এলো।