প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না: ড. বিজন কুমার
২৫ এপ্রিল ২০২০ ১৪:০১
ঢাকা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ টেস্ট পদ্ধতি উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে প্রকল্পের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।’
শনিবার (২৫ এপ্রিল) ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার বীর বিক্রম মিলনায়তনে আয়োজিত স্যাম্পল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘আমরা প্রথমে স্যাম্পল পাচ্ছিলাম না। তো আমি স্যারের (ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী) অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসককে ফোন দিই। উনি বললেন, আপনাদের কত স্যাম্পল লাগবে আমাকে বলুন।’
‘যাই হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের কত সহযোগিতা করেছেন, সেটি বলে শেষ করতে পারব না। এই কথাটি আমরা এখন বলতে চাই যে, শুধু দেশ নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য যে টেস্ট দরকার ছিল, সেটি আমরা করতে পেরেছি এবং আমরা আশা করি আগামীকাল থেকে আমরা প্রোডাকশনে চলে যাব। তারপর রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হ্যান্ডওভার হবে’— বলেন ড. বিজন কুমার শীল।
তিনি বলেন, ‘গত দেড় মাস ধরে আমি কাজ করছি, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছি। আমি একা নই, আমার সাথে যারা ছিল, তারা সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমাদের লিডার ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এবং ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।’
‘আমার সঙ্গে আরও চারজন বিজ্ঞানী ছিলেন— যাদের আছে অত্যন্ত দুর্দান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এবং উদ্ভাবন করার শক্তি। এরা হলেন- ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. আদনান, ড. মো. জহিরউদ্দিন ও ড. সোহাগ’— বলেন ড. বিজন কুমার শীল।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে কাজ করেছি। সব শেষে আমরা বলতে পারি উই হ্যাব ডান দিস। আমরা এটি করতে পেরেছি। আশা করছি, আমরা আগামীকাল থেকে প্রোডাকশনে চলে যাব। আমরা দুই ধরনের কিট ডেভেলপ করেছি। একটা হলো করোনা ভাইরাসের এন্টিজেন ডিটেকশন। আরেকটি হচ্ছে এন্টিবডি ডিটেকশন। প্রত্যেকটা ইনফিউশনে দুইটা ডোর থাকে। একটি হচ্ছে ইন্টিজেন বা ভাইরাল ফেস আরেকটি হলো এন্টিবডি।’
বিজন কুমার শীল বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো কিটই ১০০ পার্সেন্ট রোগ শনাক্ত করতে পারে না। যদি কেউ দাবি করে, তাহলে বুঝতে হবে ভুল বলছেন তিনি। এই জন্য আমরা দুইটা ফেজ করেছি। আমাদের সবচেয়ে বড় অ্যাসিভমেন্ট হলো দুইটা ফেজ একত্রিত করায় আমরা ১০০ রোগীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এই টেস্ট খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে করা যায়। পিসিআর করতে দুই দিন সময় লাগে। আমাদের এই পদ্ধতিতে টেস্ট করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগে।’
করোনা শনাক্ত গণস্বাস্থ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী র্যাপিড টেস্ট