ঋণগ্রস্তরা সুদহার নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবেন না: প্রধানমন্ত্রী
২৭ এপ্রিল ২০২০ ১৩:৫৩
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা এরইমধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতে গিয়ে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এ কয়েকমাস সবকিছু বন্ধ দেখে ঋণের সুদ বেড়ে গেছে, সেটার জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না। আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো, কাজেই সুদগুলো যেন স্থগিত থাকে এবং পরবর্তীতে কতটুকু মাফ করা যায়, কতটুকু আপনারা নিয়মিত দিতে পারেন, সেটি বিবেচনা করা হবে, দুঃশ্চিন্তায় ভুগবেন না।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) গণভবনে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের সূচনা বক্তব্যের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সমন্বয় তদারকির অংশ হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সংযুক্ত হয়ে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগেও বিভিন্ন বিভাগে জেলাভিত্তিক ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের কাজ নেই। বিশেষ করে আমাদের যারা একেবারে যারা হতদরিদ্র তাদেরকেও আমরা যেমন সাহায্য দিচ্ছি। কিন্তু নিম্নবিত্ত এমনকি ছোটখাট কাজ করে যারা খায় তাদের জন্য যথেষ্ট কষ্ট আমরা জানি। আর সেই কারণে একেবারে ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকে শুরু করে অর্থ্যাৎ যেমন মৎস্য চাষি থেকে শুরু করে পোল্ট্রি, ডেইরি ফার্ম যারা করেন বা কৃষি কাজ করেন বা বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট ক্ষুদ্র ব্যবসা যারা করেন, প্রত্যেকের কথা চিন্তা-ভাবনা করে এবং অন্যান্য দিকে খেয়াল রেখে আমরা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি প্রণোদনা দিয়েছি এবং সেটা ভাগে ভাগে দিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কাজেই যাদের এই যে ছোটখাট ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তারা কিন্তু এখান থেকে মাত্র ২ শতাংশ সুদে আমরা টাকাটা দিয়ে দিচ্ছি। সেই ব্যবসাগুলো যাতে চালু রাখতে পারেন তা আমরা দেখব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর একটা বিষয় বলব, যারা এরইমধ্যে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন কিন্তু এই করোনাভাইরাসের কারণে এই কয়েক মাস সবকিছু বন্ধ দেখে আপনাদের তো ঋণের সুদ বেড়ে গেছে, সেটার জন্য আপনারা চিন্তা করবেন না, কারণ এই সুদ এখনি নেওয়ার কথা না। আর আপনাদের সঙ্গে মিটিংয়ের পরেই আমি আবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসব, কাজেই সুদগুলো যেন স্থগিত থাকে এবং পরবর্তীতে কতটুকু মাফ করা যায়, কতটুকু আপনারা নিয়মিত দিতে পারেন, সেটি বিবেচনা করা হবে। কাজেই সেটা করে দেব, দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না।’
‘অন্তত এইটুকু আমি বলব, এখানে আমাদের সবচেয়ে বড় কথা, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা আর আমাদের জীবন-জীবিকার পথটা উন্মুক্ত রাখা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু যেসব জায়গায় এখনও এই রকম করোনাভাইরাস দেখা দেয়নি, ধীরে ধীরে আমরা সেই জায়গাগুলো আস্তে আস্তে শিথিল করে দিচ্ছি। যেন মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে বা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি।’
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। এ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস গণভবন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্স শেখ হাসিনা