চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিনজনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়ও একজন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রামে পুরনো একজন রোগীর শরীরে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায়ও করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
শুক্রবার (১ মে) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ- বিআইটিআইডিতে ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবে ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডিতে পুরনো একজনসহ চারজনের এবং সিভাসুতে নোয়াখালীর এক বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামে আক্রান্তদের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ৫১ বছর বয়সী এক পুরুষ, নগরীর রাহাত্তারপুলে ৩৪ বছর বয়সী নারী এবং চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৫৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট। তিনি ২৮ এপ্রিল থেকে হাসপাতালের করোনা সেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, লোহাগাড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। তিনি সাতকানিয়া উপজেলায় কর্মরত আছেন।
এছাড়া নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার ২৬ বছর বয়সী এক নারীর মধ্যে দ্বিতীয়বার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। গত ২৬ মার্চ থেকে বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়। সিভাসুতে শুরু হয়েছে ২৫ এপ্রিল।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এদের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১২৭ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম জেলার ৭৩ জন। মারা গেছেন ৬ জন। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের ৪০ জন, নোয়াখালীর ৮ জন, বান্দরবানের ৩ জন এবং ফেনীর ৩ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।