শতভাগ বেতনের দাবিতে ডিবিএল গ্রুপে শ্রমিকদের হামলা
১১ মে ২০২০ ১৮:০০
ঢাকা: শতভাগ বেতনের দাবিতে আশুলিয়ায় ডিবিএল গ্রুপের পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা হামলা চালিয়েছে।
সোমবার (১১ মে) সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। শতভাগ বেতনের দাবি জানিয়ে তারা কারখানার বাইরে অবস্থান নেয়। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা এ সময় কারখানায় হামলা চালায়। তারা কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে।
জানতে চাইলে ডিবিএল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম এ জব্বার সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমার ফ্যক্টরিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। সব জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে। ফ্যাক্টরির গ্লাসগুলো ভেঙে ফেলেছে। সেখানে যে গাড়িগুলো ছিল সেগুলোও ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল রোববার (১০ মে) তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। আজ কাজে যোগ দিয়েই শতভাগ বেতনের দাবিতে তারা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালায়। সেখানে ৪ থেকে ৫ টি ফ্যাক্টরিতে তারা এই কাজ করেছে। তারা শতভাগ বেতন চায় এবং কবে বোনাস দেবো সেই তারিখ জানতে চায়। কিন্তু ৬০ শতাংশ বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত তো সরকারের। আমি তো সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারি না।’
বিজএমইএ’র পরিচালক (শ্রম) রেজওয়ান সেলিম এ প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘শতভাগ বেতনের দাবিতে ডিবিএল গ্রুপে ভাঙচুরের ঘটনাটি খুবই বড় আকারে ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আর কোথাও এমনটি ঘটেনি। এম ডিজাইন ফ্যাক্টরিতে রোজই বেতন নিয়ে সমস্যা। কিন্তু কোথাও এত বড় আকারে ভাঙচুর হয়নি। আমরা এখন ৬০ শতাংশ হারে বেতন দিতে গিয়ে শঙ্কিত। বেতনও দেবো, আবার মারও খাবো? সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরেও তো আমরা যেতে পারছি না। যে সিচুয়েশন দাঁড়িয়েছে সেটা আনফরচুনেট। সরকার প্রোটেকশন দিতে না পারলে আমরা শতভাগ বেতন দিই!’
এদিকে হামলার বিষয়ে জানতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একাধিবার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, সরকার, মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রমিকরা কেবলমাত্র কর্মদিবসের জন্য এপ্রিল মাসে শতভাগ বেতন পাবেন। বাকি দিনগুলোর জন্য পাবে ৬৫ শতাংশ বেতন। তবে এপ্রিল মাসে বেতন পাবে ৬০ শতাংশ, বাকি ৫ শতাংশ মে মাসের বেতনের সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, বেশিরভাগ কারখানায় এপ্রিল মাসে কাজ হয়েছে সপ্তাহ খানেকের মতো। সে হিসেবে শ্রমিকরা ৬০ শতাংশের কিছু বেশি বেতন পাবেন এপ্রিল মাসে। একাধিক পোশাক শ্রমিক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, তারা ৬০ শতাংশ বেতনে খুশি নন। কারখানা যাতে বন্ধ না হয় এবং বোনাস প্রাপ্তির আশায় শ্রমিকরা কোনো অন্দোলনে নামছেন না।