কাঁচাবাজারে কেনাকাটায় মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্ব
১৩ মে ২০২০ ১১:৪৫
ঢাকা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে লকডাউনের মধ্যেও বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। তবে এইক্ষেত্রে ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই বজায় রাখছেন না সামাজিক দূরত্ব। আবার কোনো কোনো জায়গায় ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রধান কারণ হলো- বাজারের ভেতরের গলিগুলো খুবই সরু। এই সরু রাস্তা দিয়ে দু্জন দুদিক থেকে আসা-যাওয়ার সময় একজন আরেকজনের গা ঘেষেঁ চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করোনাভাইরাস সংক্রামণের ঝুঁকি অনেকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ মে) রাজধানীর মতিঝিল কলোনি কাঁচাবাজার এবং খিলগাঁও বাজারে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। বিশেষ করে বাজারের ভেতরে মাছ মাংস, সবজি ও বিভিন্ন মুদির দোকানে কেনাকাটার সময় কোনোভাবেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আবার অধিকাংশ দোকানে এক সঙ্গে তিন/চারজন ক্রেতা দাঁড়িয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কেনাকাটা করছে। ওই সময় দোকানের পাশ দিয়ে অন্য কেউ চলাচল করলে একজনের সঙ্গে আরেকজনের ধাক্কা লেগে যাচ্ছে। এছাড়াও অধিকাংশ দোকানদাররা মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস ব্যবহার করছেন না।
এ ব্যাপারে মতিঝিল কলোনি কাঁচা বাজারের কাজল ব্রাদার্সের মালিক মো. কাজল সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারে ভেতরের রাস্তা খুবই সরু। কোনো দোকানের সামনে একজন দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করলে তখন পাশ দিয়ে আরেকজন হেঁটে গেলে গায়ে ধাক্কা লাগে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।’
অন্যদিকে মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ জানতে চাইলে মতিঝিল কাঁচাবাজারের আরেক দোকানদার জাফর আহমেদ বলেন, ‘সারাক্ষণ মাস্ক ব্যবহার করতে অস্বস্থি লাগে। তাই কখনও কখনও খুলে রাখি।’
অন্যদিকে খিলগাওঁ কাচা বাজারের বাজার করতে আসা সালাহউদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বাজারের ভেতরে প্রবেশ করতে খুবই ভয় লাগে। তারপরেও কেনাকাটার প্রয়োজনে আসতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, বাজারে ভেতরের গলিগুলো এতই সরু যে, দুজন মানুষ পাশাপাশি কিংবা দুইজন দুদিক থেকে আসলে গায়ে গা লেগে যায। এই পরিস্থিতি করোনাভাইরাসের বিস্তারে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ আমরা জানি না কে করোনাভাইরাসের জীবাণু বহন করছেন।