Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হিমাগারে রাখা যাচ্ছে না আলু, লোকসান হবে ৮০০ কোটি টাকা


১৫ মে ২০২০ ০৮:৩০

ঢাকা: মুন্সীগঞ্জের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে আলু। এবারও এ জেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে শ্রমিক ও পরিবহন সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। এতে ৮০০ কোটি টাকা লোকসান হবে সংশ্লিষ্টদের।

প্রতিবছর মার্চের শেষ থেকে এপ্রিলের শুরুতেই হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণে ব্যস্ত থাকলেও করোনার কারণে এবার চিত্র অন্যরকম। মুন্সীগঞ্জ জেলায় আলু সংরক্ষণের জন্য ৭৪টি হিমাগার রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এসব হিমাগারের ৪০ শতাংশ এখনো ফাঁকা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে পরিবহন চলাচল করতে পারছে না। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে মুন্সীগঞ্জের হিমাগারে সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত আলু আনা যাচ্ছে না। পরিবহন ও শ্রমিক সংকটের কারণে এখানকার হিমাগার মালিকদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা লোকসান হবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সড়কে আলু বহন করা পরিবহন চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা।

বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন পুস্তি জানান, সংরক্ষণ মৌসুমের এ সময়ে করোনা আতঙ্কের কারণে অস্বাভাবিকভাবে আলু কিনছে ক্রেতারা। ফলে বাজারে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। এ কারণে বাড়তি দামে কিনে আলু সংরক্ষণে আগ্রহ কম ব্যবসায়ী ও কৃষকের। এ ছাড়া, যেসব কৃষক ও ব্যবসায়ী বাজার থেকে কিছু সংগ্রহ করতে পেরেছেন, তারা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নানা বাধার মুখে পড়ছেন।

মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলো ৬০ শতাংশ আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব হলেও এখনও ৪০ শতাংশ জায়গা খালি পড়ে আছে। তাই এখানকার হিমাগার মালিকদের প্রায় ৮০০ কোটি টাকা লোকসান হবে। এখনই যদি সঠিকভাবে আলু সংরক্ষণ করা সম্ভব না হয় তাহলে বছরব্যাপী চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, পরিবহন বন্ধ থাকায় নদীপথ দিয়ে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে মুন্সীগঞ্জের অল্প কিছু আলু নদীঘেঁষা হিমাগারগুলোতে রাখলেও অন্যান্য জেলা থেকে আলু আসা বন্ধ রয়েছে।

সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, আলু সংরক্ষণের জন্য সারা দেশে ৪২৯টি হিমাগারের মধ্যে ৪০০টির মতো চালু রয়েছে। এগুলোতে ৫৫ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করার সুযোগ আছে। এবার ৩৬ লাখ টন আলু সংরক্ষণ হবে বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতারা।

এ প্রসঙ্গে মিরকাদিম এলাকার আলী কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার আব্দুল গফুর কাজী জানান, এখনও হিমাগারগুলোর ৪০ শতাংশ ফাঁকা। তাই কোটি কোটি টাকা লোকসান হবে হিমাগার মালিকদের। পর্যাপ্ত আলু সংরক্ষণের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

আলু আলু সংরক্ষণ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন হিমাগারে সংরক্ষণ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর