Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা রোগীদের জন্য ঢাকা মেডিকেলে চালু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি


১৬ মে ২০২০ ১১:৫০

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপির সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান ।

তিনি জানান, শনিবারে প্রায় দুই থেকে তিন জন চিকিৎসকের শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। পরে প্লাজমা পরীক্ষা করে দেখা হবে এন্টিবডি কতটুকু আছে। তারপরে করোনা রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা শুরু করা হবে।

বিজ্ঞাপন

করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন এমন রোগীর শরীর থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। বিশ্বে অনেক দেশে প্লাজমার থেরাপিতে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের চিকিৎসকরা প্লাজমা থেরাপির চিকিৎসায় আশার আলো দেখছে।

চিকিৎসকরা মনে করেন, ভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী সুস্থ হওয়ার পর তার দেহে তৈরি হয় ওই ভাইরাসের এন্টিবডি। ধারণা করা হয় মারাত্মক ভাইরাস করোনার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে। এ জন্য প্রথমবারের মতো প্লাজমা থেরাপির এ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ এবং দাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছে তিনজন স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ও প্লাজমা থেরাপির সমন্বয়ক কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনা রোগীদের জন্য এই প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসায় ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সফলতা পেয়েছে। চীনে ১০ জন করোনা রোগীর ওপরে এই প্লাজমার থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে তিনজন রোগী ভেন্টিলেটরে ছিল। চিকিৎসকদের স্টাডি থেকে জানা যায়, ওই থেরাপির কারনে সবাই সুস্থ হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

ডা. খান বলেন, ‘এ ছাড়া গতকাল আমেরিকার একটি হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা ২৩ জন করোনা রোগীকে প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ জনই সুস্থ হয়েছে।’

করোনাভাইরাস রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছে, ওইসব ব্যক্তির শরীরে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মেশিনের মাধ্যমে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। বাকি রক্তগুলো ওই মেশিন মাধ্যমে প্লাজমা দাতার শরীরে চলে যাবে। এতে রক্তদাতাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না এবং এসব দাতাদের করোনা রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই। এটি ডায়ালাইসিসের মত প্রক্রিয়া। এই মেশিনটিতে একটি স্পেশাল কিট ব্যবহার করা হয়

ডা. খান বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এই মহৎ কাজের জন্য করানো সুস্থ ব্যক্তিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেন এগিয়ে আসে। অসুস্থ ব্যক্তিদের শরীর থেকে পাঁচ মাস পরপর প্লাজমা সংগ্রহ করলে ওই দাতাদের কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি নিশ্চিত করেন। রক্তের গ্রুপ ভিত্তিক অনুযায়ী রোগীদের প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, শনিবারে প্রায় দুই থেকে তিন জনের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। পরে আরও কয়েকজনের সংগ্রহ করার করা হবে। পরে প্লাজমা পরীক্ষা করে দেখা হবে এন্টিবডি কতটুকু আছে। তারপরে করোনা রোগীদের প্লাসমা থেরাপি চিকিৎসা শুরু করা হবে।

করোনা রোগী করোনাভাইরাস ঢাকা মেডিকেল প্লাজমা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর