‘মানুষের আকাঙ্ক্ষা-আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা’
১৭ মে ২০২০ ১০:২০
ঢাকা: বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে তার ওপর আস্থা রেখে দেশ ও মানুষের কল্যাণের রাজনীতি ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছিল। তার অনুপস্থিতিতেই দেওয়া হয় এই দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পেয়ে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আস্থা আর আকাঙ্ক্ষার প্রতিদান তিনি এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বেই দল আজ ঐক্যবদ্ধ, জাতি ঐক্যবদ্ধ, দেশ ঐক্যবদ্ধ। তার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমরা আশাবাদী, তিনি আজীবন এভাবেই সব জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।
১৭ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তায় বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন- বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন আজ
আমির হোসেন আমু বলেন, জিয়াউর রহমান যখন দেশে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, যখন দল ভাঙার রাজনীতি চলছে, রাজনীতিবিদদের চরিত্র হনন চলছে, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও নানামুখী জটিলতা; এমন একটি মুহূর্তে আওয়ামী লীগের ভেতরেও চলছে ষড়যন্ত্র আর অপতৎপরতা। ঠিক সেই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দলের ঐক্য বজায় রেখে মানুষের জন্য নেতৃত্ব দিতে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে তার অনুপস্থিতিতেই দলের সভাপতি মনোনীত করা হয়। সেই দায়িত্ব নিয়ে তিনি ফের বাংলার মাটিতে পদার্পণ করেন।
আমু বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করেছিল আততায়ীরা। সেদিন দেশের বাইরে থাকার কারণে বেঁচে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসনে থাকতে হয় তারে। শেখ হাসিনাকে যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হলো, তিনি ফিরলেন দেশে। তিনি যখন দেশের বাইরে গেলেন, তখন এই মাটিতে ছিল তার মা-বাবা, ভাই-বোন নিয়ে একটি পরিপূর্ণ পরিবার। যখন ফিরলেন, সেদিন ছিল হাহাকার আর হাহাকার। কিন্তু শোককে শক্তিতে পরিণত করে তিনি নিলেন মাটি ও মানুষের দায়িত্ব।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের সেই দিনটির কথা স্মরণ করে আমির হোসেন আমু বলেন, তাকে ঘিরে এ দেশের মানুষ আবার নতুন করে উজ্জীবিত হয়ে উঠল। সেদিন ৬৫ থেকে ৭০ মাইল বেগে ঝড়, তুমুল বৃষ্টি। সব উপেক্ষা করে লাখ লাখ লাখ মানুষ সেদিন কুর্মিটোলা বিমানবন্দর শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানায়, অভিবাদন জানায়। তার ভেতরে তারা খুঁজে পায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি।
গণমানুষের কল্যাণ সামনে রেখে শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জাতি যে স্বপ্ন দেখেছিল, শেখ হাসিনা তার যোগ্য কন্যা হিসেবে তার এই অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আজকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করে চলছেন। আজ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। বঙ্গবন্ধু তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, স্বনির্ভর জাতি গড়ে তুলতে হবে। আজ শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ। খাদ্য ঘাটতি নিয়ে সরকার গঠন করার পরও তিনি দেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের অর্থনীতি সুদৃঢ় অবস্থায়। আজ মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণ করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। আজকের বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাঙালি জাতির সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা সক্ষম হয়েছে। আজ বাংলাদেশ মাথা উঁচু করেই সারা দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। আজ শেখ হাসিনা নিজেকে বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে অন্যতম রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, যে আশা-উদ্দীপনা, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সেদিন আওয়ামী লীগ তাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল, আজ তিনি সেই আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিপূর্ণতা দিচ্ছেন। তার ওপর যে আস্থা ছিল মানুষের, সেই আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন তিনি। আমরা আশাবাদী, আগামীতেও তিনি একইভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন নিজের বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে, জনগণের প্রতি ভালোবাসা থেকে।
ফাইল ছবি
আমির হোসেন আমু শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস