২৮ মে‘র পর থেকে বিশেষ প্রণোদনা ভাতা পাবেন না ব্যাংক কর্মীরা
১৭ মে ২০২০ ১৮:৩২
ঢাকা: আগামী ২৮ মে’র পর থেকে ব্যাংকে সশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ কোনো প্রণোদনা ভাতা পাবেন না ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ২৮ মে’র পরও যদি সরকারের সাধারণ ছুটি থাকে তাহলে তারা নিজ নিজ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী যাতায়াত ভাতা পাবেন।
রোববার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতিবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনটি সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রমের মধ্যেও ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে যে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বশরীরে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড গতিশীল করার মাধ্যমে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে অনান্য সেক্টরের ন্যায় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখা আব্যশকতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন শুরু করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই অবস্থায় তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা অব্যশক হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২৮ মের পর থেকে ব্যাংকে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রদান অব্যাহত রাখার আবশ্যকতা পরিলক্ষিত হয় না।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই অবস্থায় গত ১২ এপ্রিল জারি করা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রাপ্যতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনটি সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময় থেকে পরবর্তী দুই মাস কার্যকর থাকবে। সেই হিসাবে আগামী ২৯ মে থেকে এই প্রজ্ঞাপনটি আর কার্যকর থাকবে না। আগামী ২৯ মে থেকে পরবর্তী সময়ে সরকারের সাধারণ ছুটি থাকলে ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সশরীরে উপস্থিত থাকলে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী তারা যাতায়াত ভাতা প্রাপ্য হবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ এপ্রিল করোনাকালে সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ভাতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা অনুযায়ী সরকারের সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে ১০ দিন সশরীরে ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিরিক্ত এক মাসের বেতন পাবেন। স্থায়ী ও অস্থায়ী সব ধরনের কর্মকর্তা কর্মচারিরা এই সুবিধা পাবেন। আর এই অর্থের পরিমাণ হবে সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।