Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা নিষেধ, বাস্তবায়নে শিথিলতা হলে কঠোর ব্যবস্থা


১৭ মে ২০২০ ১৯:২৯

ঢাকা: মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কোনো গাফিলতি হলে এবং দায়িত্ব পালনে কোনো শিথিলতা দেখা গেলে রাষ্ট্রের নিয়ম অনুসরণ করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার (১৭ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০ মে থেকে ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষেধ

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সব ধরনের নৌযান দিয়ে মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স ধরতে নিষেধ করা হয়েছে।

এরই মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের মাধ্যমে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ বাস্তবায়নে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এই সময়ে জেলেদের জন্য মাসিক ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সেসব বরাদ্দ জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা হবে বলেও জানানো হয় বৈঠকে। গত বছর এই কার্যক্রমে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯ জন জেলেকে এই সহায়তা দিয়ে পূনর্বাসন করা হয়।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মানুষের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে এবং অর্থনীতির চিন্তা করে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই ৬৫ দিন সকল প্রকার নৌযান কর্তৃক সকল প্রকার মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ। এ সময় বিদেশি বা দেশি মাছ আহরণকারীদের অবৈধ মৎস্য আহরণ যেকোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পুষ্টির অভাব দূর করতে হলে মাছের চাষ বৃদ্ধি করা খুবই দরকার। প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, মাছের যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমরা অর্জন করেছি, এর পরিসরকে আরও বাড়াতে হবে। যাতে বিদেশে মাছ রফতানি করে গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়।’

‘ধানের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের ক্ষেত্রকে সমৃদ্ধ করতে না পারলে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সংকট থেকে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যেন কোনভাবেই উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যবহত না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের আমরা মাসিক ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। করোনা পরিস্থিতিতে এটা বণ্টন করা জটিল কাজ। এ কাজে সম্পৃক্ত জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সকলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির খাতটি অনেক উন্নতি ঘটেছে। খাদ্য সহায়তায় পরিবহন খরচ ছিল না। পরিবহন খরচ সরকারের পক্ষ থেকে পর্যায়ক্রমে পৌঁছানো হবে।’

অনলাইন সভায় সংযুক্তদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘মাছকে বেড়ে উঠতে দেওয়া এবং মাছকে অবৈধভাবে আহরণ করতে না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টি ও পরিষ্কারভাবে বলবো, আপনারা কঠোর অবস্থান নেবেন। কাউকে আইনের বাইরে কোনো কিছু করতে দেবেন না। সেক্ষেত্রে যেকোনো চাপ আমরা মোকাবিলা করবো।’

টপ নিউজ নিষেধ মাছ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর