Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘লটারিতে নির্বাচিত ধান সংগ্রহে ‘কৃষক কার্ড’ বিক্রি করলে শাস্তি’


১৮ মে ২০২০ ১৫:৫৬

ঢাকা: চলতি মৌসুমে ধান সংগ্রহে লটারিতে নির্বাচিত কৃষকদের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্রে এবং সরকারি খাদ্য গুদামের অফিসে দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এছাড়া তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত কোনো কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করলে সেই কার্ড বাতিল করা হবে। পাশাপাশি সে সমস্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ মে) মন্ত্রীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সাঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

লটারি প্রক্রিয়ায় অপেক্ষায় থাকা কৃষকদের নামের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন কৃষক হয়রানির শিকার না হয়।’ সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্কও করেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলায় করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী। এসময় তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদের ওপর জোর দেন।

উপস্থিত খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক কতজনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত গরীব, দুস্থ কতজনকে নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠান। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ তালিকা হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।’

খুলনা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’

বিজ্ঞাপন

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘কোনোভাবেই পুরান চাল নেওয়া যাবে না; চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের চাল; পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করারও নির্দেশ দেন তিনি।’

কৃষি খাদ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর