Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাষ্ট্রদূতরা এখন থেকে সংসদীয় কমিটির কাছে জবাবদিহি করবেন


১৮ মে ২০২০ ১৬:২৮

ঢাকা: বিদেশের মিশনগুলোতে দায়িত্বর রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারদের অধিকতর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনাররা নিজ নিজ মিশনের তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে তুলে ধরবেন।

জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও রোমানিয়ার নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী ১৭ মে তাদের কর্মপরিকল্পনা সংসদীয় কমিটির কাছে পেশ করেন। এর মধ্য দিয়ে নতুন উদ্যোগটি চালু হয়েছে। সোমবার (১৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতগণকে অধিকতর জবাবদিহিতার আওতায় আনতে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতগণ এখন থেকে স্ব স্ব মিশনের আগামী তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সামনে পেশ করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘১৭ মে ঐতিহাসিক দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে করোনাভাইরাসের সময় সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে প্রথমবারের মত দুজন রাষ্ট্রদূত বিদেশে দায়িত্বপালনকালে দেশের জন্য ও প্রবাসী বাংলদেশিদের জন্য কী কাজ করবেন এবং কী ধরনের উদ্যোগ নেবেন তা উপস্থাপন করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূতদের জবাবদিহিতা বাড়বে। সংসদীয় কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রদূতদের দেশের ও জনগণের উন্নয়ন কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায় সে বিষয়ে উপদেশ ও দিক নির্দেশনা দেন। রাষ্ট্রদূতের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা কাজ করেন, তাদের এ ধরনের পরিকল্পনা ও জবাদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে নতুন দিগন্ত খুলেছে বলে আমি মনে করি।’

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রবাসীরা যাতে বিদেশে না খেয়ে থাকে সেজন্য অর্থ পাঠানো হয়েছে এবং দুঃস্থ প্রবাসীদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসী শ্রমিকরা চাকুরিচ্যুত হলেও যাতে কম পক্ষে ছয়মাসের বেতন ও আনুষাঙ্গিক সুবিধা পায় সেজন্য দেনদরবার করা হচ্ছে। বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য সাধারণ সরকারি ছুটির মধ্যেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খোলা রয়েছে।

ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে এসেছিলেন বলে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা এসেছে, বন্ধুর খুনি ও রাজাকারদের বিচার সম্ভব হয়েছে। এছাড়া গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ছাড়াও সংসদ সদস্য ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, কাজী নাবিল আহমেদ ও নাহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

জবাবদিহি ড. এ কে আবদুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি হাইকমিশনার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর