কী কারণে ডিএসসিসির ২ শীর্ষ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত জানে না ‘কেউ’
১৯ মে ২০২০ ০৯:০০
ঢাকা: দায়িত্ব নেওয়ার একদিন পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দুইজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছেন মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। কিন্তু ঠিক কি কারণে তাদের চাকরি থেকে সরানো হয়েছে তা জানেন না সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে তাদের কোনো ধারণাও নেই!
গত শনিবার (১৬ মে) দুপুরে ডিএসসিসির মেয়রের দায়িত্ব নেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। পরদিন রোববার (১৭ মে) সকালে সংস্থার সব কর্মকর্তাদের নিয়ে সভায় মেয়র তাপস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি কিংবা দায়িত্ব অবেহলা বরদাশত করা হবে না।’
এমন হুঁশিয়ারির কয়েক ঘণ্টা পরই বিকেলে মেয়রের নির্দেশে সংস্থার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ইউসুফ আলী সরদারকে লিখিত অফিস আদেশের মাধ্যমে চাকুরিচ্যুত করা হয়।
ডিএসসিসির মেয়র ও সচিব স্বাক্ষরিত পৃথক দু’টি অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা ২০১৯ এর বিধি ৬৪(২) মোতাবেক জনস্বার্থে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের স্বার্থ রক্ষার্থে চাকুরি হতে অপসারণ করা হলো।’ চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের বিধি মোতাবেক তিন মাসের নগদ অর্থসহ সকল দেনা-পাওনা বুঝে নিতে করপোরেশনের হিসাব বিভাগে যোগাযোগ করতে বলা হয় অফিস আদেশে।
কিন্তু অফিস আদেশে ‘করপোরেশন ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে’ তাদের চাকরিচ্যুত করার কথা উল্লেখ করা হলেও, মেয়রের হুঁশিয়ারির পরপরই ওই দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় সংস্থাটির ভেতরে-বাইরে চলছে নানা গুঞ্জন। কেউ কেউ বলছেন, দুর্নীতির কারণেই তারা চাকরি হারিয়েছেন।
দায়িত্ব নিয়েই ২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করলেন তাপস
আবার কারও কারও মতে, তারা দু’জনই সদ্য বিদায় নেওয়া মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের আস্থাভাজন ছিলেন। এ কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তবে এসব গুঞ্জনের মাঝে কোনটি সঠিক তা স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাইছেন না সংস্থার দায়িত্বশীল শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আবার চাকরি হারানোর বিষয়েও কোন মন্তব্য করতে চাইছেন না চাকরিচ্যুত সেই দুই কর্মকর্তাও।
এ বিষয়ে জানতে সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
তবে ডিএসসিসির সচিব মো. আকরামুজ্জামান সারাবাংলাকে ‘আমি কাল দুপুরে দায়িত্ব নিয়েছি। আর বিকেলে মেয়র স্যারের অফিস আদেশ পেয়েছি তাই কারণটা আমি এখনও জানি না। তবে আমিও শুনেছি তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ আছে। কিন্তু কি অভিযোগ তা জানি না।’
একই কথা বললেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহ মো. ইমদাদুল হক। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘তাদের দুই জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটা সত্য। এর বেশি আর কিছু বলতে পারবো না।’
