Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় পুলিশের সহায়তা নেওয়ার আহ্বান


২০ মে ২০২০ ০১:৫৭

ঢাকা: চলমান করোনা সংকটের মধ্যে আরেক দুর্যোগের নাম ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার (২০ মে) বিকেল থেকে রাতের মধ্যে যেকোনো সময় এটি বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় করোনা সংকটের মতো ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি থেকে মানুষের জীবন ও সম্পত্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, আম্পানের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জনগণের সহযোগিতার একান্ত প্রয়োজন। এজন্য ঘূর্ণিঝড়ের দেশের সম্মানিত নাগরিকদের কিছু বিষয় অনুসরণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অনুসরণ করার উপযোগী বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে— আম্পান আঘাত হানতে পারে যেসব এলাকায়, সেসব এলাকার লোকজন যেন যত দ্রুতসম্ভব নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান; আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পারলে শুকনো খাবার ও খাবার পানি সঙ্গে নিতে হবে; রাতে চলাচলে প্রয়োজনে হয়— এমন সব ইলেকট্রনিক উপকরণ যেমন লাইট, ব্যাটারি সঙ্গে রাখতে হবে; গৃহপালিত পশুপাখি যতটা সম্ভব নিরাপদ ও উঁচু স্থানে রাখতে হবে।

বাংলাদেশ পুলিশ বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড় চলাকালে অবশ্যই নিরাপদ স্থানে অবস্থান করবেন। ঘরে থাকা বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গ্যাসের চুলা যতটা সম্ভব বন্ধ রাখুন। জীবনধারণের জন্য প্রয়োজন পড়ে— এমন অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী অবশ্যই পানিনিরোধী পলিথিন কিংবা শুকনো থাকবে— এমন বস্তু দিয়ে ভালোভাবে মুড়িয়ে সংরক্ষণ করুন।

বিজ্ঞাপন

করোনাকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময়ও অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, গ্লোভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার) নিতে বলা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই অবস্থানের চেষ্টা করুন। ঘূর্ণিঝড়ের পরে উদ্ধার অভিযানের রেসকিউ সামগ্রী ও রেসকিউ বোটের প্রয়োজন পড়তে পারে। এজন্য উদ্ধারের কাজে লাগতে পারে যেমন— স্পিডবোট, রেসকিউ বোট, নৌকা, লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য সামগ্রী ভালোভাবে সংরক্ষণ করুন।

এআইজি সোহেল রানা বলেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে সুরক্ষিত থাকতে আশ্রয়কেন্দ্রে নিজে যান, অন্যকেও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এ বিষয়ে যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবক কিংবা পুলিশের সহায়তা নিন। যেকোনো প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশের স্থানীয় ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পুলিশ আপনার সহায়তায় সবসময় প্রস্তুত। ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় পুলিশের সহায়তা নিন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন।

আম্পান আম্পান মোকাবিলা পুলিশের সহায়তা বাংলাদেশ পুলিশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর