সাতক্ষীরায় রাতভর বৃষ্টি, আশ্রয় কেন্দ্রে সোয়া ২ লাখ মানুষ
২০ মে ২০২০ ১২:৪৮
ঢাকা: ঘুর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। উত্তাল রয়েছে এখানকার নদ-নদীগুলো। এরই মধ্যে ২ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার গবাদি পশুকে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০৩টি মেডিকেল টিম। পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছেন ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।
বুধবার (২০ মে) সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন সাতক্ষীরা উপকূল থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। বর্তমানে সাতক্ষীরায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
বর্তমানে আকাশ মেঘলা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ সাতক্ষীরা উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় উপকূল অঞ্চলের নদ-নদী গুলোতে ১০ থেকে ১৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ফলে বেড়িবাঁধগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে উপকূলের বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের বিষয়ে সতর্ক করে উপকূলে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র মাইকিং করছে সিপিপি সদস্যরা। তোলা হয়েছে লাল ফ্লাগ। উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা, পদ্মপুকুরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার কাজ করছেন প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, জেলার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পর্যাপ্ত মাস্ক, হ্যন্ড স্যানিটাইজার, সাবান ও গামছা দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ প্রত্যেক ইউনিয়নে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া দুর্গতদের জন্য ২৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল।
আম্পান আপডেট আশ্রয় কেন্দ্রে ঘূর্ণিঝড় আম্পান রাতভর বৃষ্টি সাতক্ষীরা সোয়া ২ লাখ মানুষ