মোংলায় ভোর থেকে দমকা হাওয়া-বৃষ্টি, উপস্থিতি নেই আশ্রয়কেন্দ্রে
২০ মে ২০২০ ১৩:১৩
মোংলা (বাগেরহাট): ঘূর্ণিঝড় আম্পান ক্রমেই এগিয়ে আসছে বাংলাদেশের উপকূল লক্ষ্য করে। অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরই মধ্যে মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আর আম্পানের প্রভাবে বুধবার (২০ মে) ভোর থেকেই মোংলায় দমকা হাওয়া বইতে শুরু করেছে। থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টিও। তবে পশুর নদীতে এখন জোয়ার থাকলেও পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে না।
এদিকে, আম্পান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হলেও মোংলার ১০৬টি কেন্দ্রে তেমন মানুষজনের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বরং শহরে দোকানপাট খোলা রয়েছে, মানুষও স্বাভাবিক দিনের মতোই কার্যক্রম শুরু করেছেন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রমাগত মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
মোংলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে একই এলাকায় অবস্থান করছে। বুধবার সকাল ৬টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ২০ মে বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে তাদের।