৪৮ ঘণ্টা পর সচল চট্টগ্রাম বন্দর
২১ মে ২০২০ ১২:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় আম্পানের শক্তি কমে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে নেওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও তাদের নিজস্ব সতর্কতা সংকেত তুলে নিয়েছে। এর ফলে ৪৮ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বন্দর আবারও সচল হয়েছে। জেটিতে পণ্যবোঝাই জাহাজ আসা শুরু হয়েছে। বন্দরের ইয়ার্ড থেকে কনটেইনার খালাসও স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারিরা।
বৃহস্পতিবার (২১) আবহাওয়া অফিস মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে। এর আগে বুধবার (২০ মে) মহাবিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘অ্যালার্ট আমরা তুলে নিয়েছি। যে ১৯টি জাহাজ আমরা জেটি থেকে বের করে দিয়েছিলাম, সেগুলোকে আবার প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আজ আমরা ৮টিকে আসতে বলেছি। ৪টি জাহাজ এসেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। জাহাজগুলোর অবস্থান দূরে হওয়ায় হয়ত একটু সময় লাগছে। পরবর্তী জোয়ারে হয়ত আরও কিছু ঢুকবে। কাল (শুক্রবার) সকালের মধ্যেই আশা করি সবগুলো জাহাজ আবার জেটিতে চলে আসবে।’
বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। বন্দরের বহির্নোঙ্গরে পণ্য উঠানামাও সাগরের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শুরু হবে না। বন্দর থেকে কনটেইনার খালাস চলছে। চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী যানবাহনও ঢুকতে শুরু করেছে।
এর আগে বুধবার আম্পানের কারণে মহাবিপদ সংকেত জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে ১৯টি এবং বহির্নোঙ্গর থেকে ৬৭টি জাহাজকে বের করে সেন্টমার্টিনে গভীর সাগরে পাঠানো হয়। প্রায় ৫০০ লাইটারেজ জাহাজকে জেটির কাছাকাছি থেকে সরিয়ে কর্ণফুলী নদীতে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণে নিয়ে যাওয়া হয়।