দুর্নীতির ঘাটতি মেটাতেই বিদ্যুতের ‘ভুতুড়ে’ বিল: ন্যাপ
২২ মে ২০২০ ১৯:৪২
ঢাকা: বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দুর্নীতি আর লুটপাটের ঘাটতি মেটাতেই গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিল দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।
শুক্রবার (২২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, ‘করোনার মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ভুতুড়ে বিলের তাণ্ডবে জনমনে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতির কোনো ইয়ত্তা নাই। তাদের দুর্নীতির ফলে সারা বছরই কোনো না কোন গ্রাহককে গুণতে হয় এই ধরনের ভুতুড়ে বিলের হিসাব। দুর্নীতির মাধ্যমে তারা যে অবৈধ আয় করেন তাকে বৈধ করতেই সাধারণ গ্রাহককে ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দিয়ে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘যেখানে একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল মাসে ৩-৪ হাজার টাকা হয়, হঠাৎ করে মার্চে এসে ৫২ হাজার টাকা হয়ে যাওয়া কতবড় লুট তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিদ্যুৎ খাতের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলিতভাবে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং কাল্পনিকভাবে এই সকল বিল তৈরি করেছে। সমগ্র দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয়গুলো দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কিংবা অন্য যে কোনো সেবার জন্য অবৈধ লেনদেন এখানে অপরিহার্য।’
বিবৃতে ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘প্রথম ধাপ অপেক্ষা দ্বিতীয় ধাপের ট্যারিফ মূল্য প্রতি ইউনিটে ১.৪৫ টাকা বেশি আর সর্বশেষ ধাপ অর্থাৎ ষষ্ঠ ধাপের ট্যারিফ মূল্য পথম ধাপের ট্যারিফ মূল্যের প্রায় তিনগুণ বেশি এবং একজন গ্রাহককে এই হিসাবেই মোট ব্যবহৃত ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত মূল্য গুণতে হয়। বর্তমানের ভুতুড়ে বিলে যে অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত করা হয়েছে, তার ফলে প্রত্যেক গ্রাহককে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ধাপের সমপরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেও তৃতীয় চতুর্থ কিংবা ষষ্ঠ ধাপের ইউনিট মূল্য প্রদান করতে হবে। অন্যদিকে ডিপিডিসির কর্মকর্তাদের বর্ধিত বিল সমন্বয়ের আশ্বাসও এক ধরনের প্রতারণার কৌশল।’
তারা বলেন, ‘করোনা সংকট ও ঈদ সামনে রেখে সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষই আজ দিশেহারা। এমনই এক দুর্যোগ মুহূর্ত কাল্পনিক রিডিং দেখিয়ে ভুতুড়ে বিলের খড়গ সাধারণ মানুষের ওপর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় অবিলম্বে সকল ভুতুড়ে বিলকে সমন্বয় নয় সংশোধন করতে হবে। যে গ্রাহক যেই ধাপের পরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেছেন সেই ধাপের ট্যারিফ মূল্য অনুযায়ী বিল প্রস্তুত করতে হবে।’
ন্যাপ নেতারা বলেন, ‘করোনার এই মহামারিতে বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার যখন তার জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন প্যাকেজ প্রণোদনা দিচ্ছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের সেবাদানকারী সরকারি সংস্থার এমন গণবিরোধী কাজ সাধারণ মানুষকে আরও বিক্ষুব্ধ করে তুলবে।’