ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ
২৪ মে ২০২০ ১৭:৫৯
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এড়ানোর জন্য এবার ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকার অনুরোধে জানানো হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামায়াতে শরিক হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব অনুরোধ-নির্দেশনার কথা জানান।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) ঈদুল ফিতর। ইতোমধ্যে অনেকে শহর ছেড়ে গ্রামে গেছেন এবং এখনও যাচ্ছেন। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ থাকবে, সবাই স্বাস্থ্য নিয়মগুলো মেনে চলবেন। সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। কমপক্ষে তিন ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদের জামায়াতে শরিক হবেন। সব মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ, ঈদে কোলাকুলি থেকে বিরত থাকবেন।’
শিশুদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদের আনন্দ উচ্ছলতার কারণে তারা যেন ঝুঁকির সম্মুখীন না হন। অবশ্যই শিশুসহ সবাইকে নিয়ম অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নেবেন। অযথা নাক, মুখ ও চোখে হাত দেবেন না। শিশুদের এ বিষয়ে সচেতন করবেন। করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতা, সতর্কতা ও নিয়ম মেনে চলাই আপনাকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।’
ইতোমধ্যেই যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তারা আইসোলেশনের নিয়মগুলো মেনে চলবেন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবেন। পানি ও তরল খাবার বেশি করে খাবেন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- লেবু, কমলা, মালটা, পেয়ারা ও অন্যান্য টাটকা শাক-সবজি খাবেন। জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার খান। ডিম, মাংস, কুমড়া ও লাউয়ের বীজ, পালংশাক, মাশরুম, রসুন, দুধ ও দুগ্ধজাত থেকে জিঙ্ক পাওয়া যায়। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে খাবারের পাশাপাশি মনোবলও চাঙা রাখবেন। হালকা ব্যায়াম করবেন, ফুসফুসের ব্যায়ামও করবেন। ফুসফুসের ক্ষমতাকে কার্যকর রাখবেন।’
উল্লেখ্য, এদিন ব্রিফিংয়ে জানানো হয় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৮০ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৩২ জন। এতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৬১০ জন।