Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফাঁকা ঈদগাহে নেই ভালোবাসার আলিঙ্গন


২৫ মে ২০২০ ০৮:৫৪

ঢাকা: ঈদ উৎসবের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ জামাতে নামাজ আদায়। ঈদের দিন ভোর বেলা ঈদগাহে গিয়ে নামাজের মাধ্যমে শুরু হয় ঈদ উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। নতুন কাপড় পড়ে শিশু-কিশোর, যুবক বুড়ো, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই দল বেঁধে ঈদের নামাজ পড়তে পার্শ্ববর্তী ঈদগাহে যায়। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়, করমর্দন, কোলাকুলি করে বাসায় ফেরা। যুগ যুগ ধরে এমনটিই করে আসছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা।

কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের থাবায় এবার ঈদগাহে নামাজ আদায় বন্ধ করতে হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম না করার নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার। যার ফলে ঈদের নামাজ পড়া হচ্ছে মসজিদে। সেই ক্ষেত্রেও বজায় রাখতে হয়েছে সামাজিক দূরত্ব।

বিজ্ঞাপন

নামাজ শেষে কোলাকুলি, করমর্দন না করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারই আলোকে ঈদগাহে জামাত বন্ধ করা হয়েছে। জামাত হয়নি ঈদগাহেও। নামাজ শেষে দেখা যায়নি সেই চিরচেনা ভালোবাসার আলিঙ্গনও।

প্রতি বছর জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়। যেখানে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, কূটনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নেন। এবার সেখানে জামাতের কোন প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। সাজানো হয়নি ঈদগাহের চারপাশ।

পুরান ঢাকার ঠাটারীবাজারের বাসিন্দা ওয়াহিদুল হক বলেন, ‘প্রতি বছর আমি জাতীয় ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় করি। মসজিদে তো দিনে পাচঁ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি। কিন্তু ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় না করলে ঈদের আনন্দই যেন পূর্ণতা পায় না এমন মনে হয়। তারপরও কি করার মহামারি থেকে বাচঁতে এটিও আমাদের মেনে নিতে হবে।’

প্রতি বছর মাঠ প্রস্তুত করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিয়ারু সর্দার অ্যান্ড সন্স ডেকোরেটর। এরই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতি বছর রমজানের শুরু থেকেই আমরা জাতীয় ঈদগাহ প্রস্তুতির জন্য কাজ করি। ঈদের তিন আগে নামাজের জন্য সম্পূর্ণভাবে মাঠ প্রস্তুত করে ফেলি। এবার করোনার কারণে ঈদ গাহে নামাজ সরকার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ কারনে ঈদগাহ সজ্জিতও করা হয়নি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমার পেশাগত জীবনের প্রায় ৪০ বছর ধরে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ দেখে আসছি। ঈদগাহে নামাজ হয়নি এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমার মনে পড়ে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকলে নামাজের জন্য জাতীয় ঈদগাহকে প্রস্তুত করা হতো। অতি বৃষ্টি বা ঝড় হলে নামাজ স্থান্তরিত করা হতো। কিন্তু এভাবে মাঠ প্রস্তুতির কাজ বন্ধ হয়ে যাবে এমনটি কখনো হয়নি। তারপরও মহামারি করোনা দূর হয়ে আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু হোক আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করছি।’

উল্লেখ্য, জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে প্রায় ৯০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন। যারমধ্যে পাঁচ হাজার নারীর নামাজ আদায়ের জন্য পর্দা দিয়ে আলাদা ব্যবস্থা করা থাকতো।

ঈদগাহ ঈদের নামাজ কোলাকুলি নতুন কাপড়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর