Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেতন চেয়ে ঈদের দিন সার্ক ফোয়ারায় সাংবাদিকদের জমায়েত


২৫ মে ২০২০ ২১:৪৫

ঢাকা: বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ না করায় এবং করোনা দুর্যোগের মধ্যেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাঁটাই বন্ধের দাবিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের ডাকে ঈদের দিন দুপুরে সমাবেশ ও মিছিল করেছেন সাংবাদিকরা।

সোমবার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর কারওরান বাজারের সার্ক ফোয়ারার মোড়ে ডিইউজে’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে ঈদের আগে যে সব সংবাদমাধ্যম সাংবাদিকদের বেতন-বোনাস ঠিক সময়ে পরিশোধ করেছে তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। আর যে সব প্রতিষ্ঠান বেতন-বোনাস দেয়নি তাদের ধিক্কার জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

একইসঙ্গে সংবাদপত্র ও টিভি মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ডিইউজে’র নেতারা বলেছেন, করোনা মহামারীর এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো অজুহাত দিয়ে চাকরিচ্যুত বরদাস্ত করা হবে না। যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে পুনঃবহালের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে ডিইউজে’র সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, ‘করোনা মহামারির দুঃসময়ে যেখানে গোটা বিশ্বে যেখানে মানুষ মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে এ দেশের গণমাধ্যম মালিকেরা বিভিন্ন অজুহাতে সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। যা অন্যায় ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’

ডিইউজে’র সভাপতি বলেন, ‘আজ ঈদের এই আনন্দঘন দিনে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বন্ধু মহলে সময় কাটাতে পারতাম। কিন্তু আমরা দেখছি এই করোনার ভাইরাসের সময়েও অনেক প্রতিষ্ঠান, আমাদের-সাংবাদিকদের বেতন-বোনাস দেয়নি, অপরদিকে চলছে অবৈধ চাকরিচ্যুতি। আজ পবিত্র ঈদের দিনেও আগামী নিউজ নামের এক অনলাইন পোর্টাল থেকে ছয় জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। করোনাকালে এই প্রতিষ্ঠানে আরও দু’দফা চাকরিচ্যুত করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। এ অবস্থা চলতে পারে না।’

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত বন্ধ করতে হবে, বেতন বোনাস দিতে হবে, যারা দিবেন না তাদের বিরুদ্ধে আগামীতে ভয়াবহ কর্মসূচিসহ ধর্মঘটের মত কঠিন কর্মসূচির ডাক আসতে পারে।

বিভিন্ন মিডিয়ার মালিকদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে সিনিয়র এ সাংবাদিক বলেন, ‘ইউনিয়ন কিন্তু আগের জায়গায় নেই। যে সকল মালিকেরা মনে করেন ইউনিয়নকে তাদের মতো করে পুষতে পারবেন, তারা ভুল জায়গায় আছেন। যারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মালিকদের কাছে দালালি করে, সাংবাদিক কমিউনিটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, ভুঁইফোড় কিছু সংগঠনের ব্যানারে চ্যারিটি করে সাংবাদিকদের রুটি-রুজির আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছেন, এগুলো বন্ধ করেন। ইউনিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত হোন, ইউনিয়নকে শক্তিশালী করেন। ইউনিয়ন শক্তিশালী হলে সাংবাদিকদের দাবি আদায় সহজ হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার যদি তার কর্মীকে করোনা আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ দিতে পারে, তাহলে গণমাধ্যমের মালিকেরা কেন তার কর্মীর জন্য ক্ষতিপূরণ দেবে না? যে সকল সাংবাদিক এরই মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যয় বহন ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান ডিইউজে সভাপতি। তিনি বলেন, ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে এরইমধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, ‘করোনাকালে ছাঁটাই আমরা মানি না। যারা ছাঁটাই করছেন তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি বার্তা, আপনারা নিজেদের বিলাসিতায় অর্থ খরচ করছেন অথচ সাংবাদিকদের ন্যায্য বেতন বোনাস দিচ্ছেন না। যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার লঙ্ঘন।’

ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় ঈদের দিনের এ সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান, বিএফইউজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব অমিও ঘটক পুলক, ডিইউজের প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, জনকল্যাণ সম্পাদক পদে সোহেলী চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী সোহেল, নির্বাহী সদস্য রাজু হামিদ, সাব এডিটর কাউন্সিলের সাবেক কোষাধ্যক্ষ শামসুল আলম সেতু, আলোকিত বাংলাদেশের ইউনিট প্রধান মতলু মল্লিক, শফিক বাশার, এম জহিরুল ইসলামসহ অন্যরা।

করোনাভাইরাস গণমাধ্যম ছাঁটাই বেতনভাতা সংবাদকর্মী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর