Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

করোনা প্রকল্পে ২ শর্তে ২০৬ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ


৩১ মে ২০২০ ২২:৫০

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলা সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে বিশেষভাবে অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ শীর্ষক প্রকল্পটির বড় অংশ বিশ্বব্যাংকের সহজ শর্তের ঋণে বাস্তবায়ন হলেও বাকি টাকার উৎস ছিল সরকারি অর্থায়ন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) আওতায় এবারে এই প্রকল্পের জন্য ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাত থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২০৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। তবে এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ থেকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে দুইটি শর্ত।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র বলছে, প্রথম শর্তটি হলো— প্রকল্পের অনুকুলে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ অনুমোদিত বিনিয়োগ প্রকল্পের অনুমোদিত অঙ্গসংস্থান অনুযায়ী ব্যয় করতে হবে। আর দ্বিতীয় শর্ত হলো— টাকা খরচের ক্ষেত্রে সব ধরনের আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। শর্ত সাপেক্ষে এই অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন।

আরও পড়ুন- একনেকে উঠছে বিশেষভাবে অনুমোদিত ৪ প্রকল্প

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক সহজ শর্তে ৮৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন দেয় বাংলাদেশের অনুকূলে। ওই অর্থেই ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পটি তৈরি করা হয়। ১ হাজার ১২৭ কোটি টাকার প্রকল্পটির বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১০ মার্চের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আর কোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। ফলে অগ্রাধিকার বিবেচনায় প্রকল্পটি বিশেষ ব্যবস্থায় অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি নথিভুক্ত করার জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, একনেক বৈঠক স্থগিত থাকায় সম্প্রতি জরুরি প্রয়োজনে প্রকল্পটি অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। এখন সেটি আবার একনেকের অবগতির জন্য উপস্থাপন করা হবে। সেখানে প্রকল্পটির বর্তমান অবস্থা ও এটি সম্পর্কে কোনো সুপারিশ থাকলে সেগুলো গ্রহণ করা হবে। বৈঠকের পর প্রকল্পটি একনেকের রেজ্যুলেশনভুক্ত করা হবে। এটিই হচ্ছে অনুমোদনর স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, করোনা মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটিতে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি অবহিত করতে গত ২৮ মে অর্থ বিভাগের সচিবকে চিঠি দেয় পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মোট বরাদ্দের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য থেকে ১৬৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, জরুরিভিত্তিকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ায় প্রকল্পের আওতায় করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে নির্বাচিত হাসপাতালে পরীক্ষা সুবিধা বাড়ানো, করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা সুবিধা দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন সারাবাংলাকে বলেন, করোনা মোকাবিলায় ‘বিশেষ প্রয়োজনের উন্নয়ন সহায়তা’ খাত থেকে এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে অর্থ বিভাগ থেকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের আরএডিপির আওতায় বিশেষ প্রয়োজনের উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে তাদের পরামর্শ ছাড়া যেন কোনো প্রকল্পে অতিরিক্ত বরাদ্দ না দেওয়া হয়। ফলে প্রকল্পটিতে বরাদ্দ দেওয়ার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয়েছে।

সচিব জানান, প্রয়োজনে বরাদ্দ দেওয়া পুরো অর্থের প্রথম থেকে চতুর্থ কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করার সম্মতিও দেওয়া হয়েছে।

করোনা মোকাবিলা করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ কোভিড-১৯  ইমার্জেন্সি রেসপন্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস বিশ্বব্যাংকের ঋণ

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর