Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আগামী ১৫ দিন ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিসে কাজ করব’


১ জুন ২০২০ ১৮:৪০

ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে দীর্ঘ বিরতির পর অফিস খুললেও মন্ত্রণালয়গুলোতে ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী দিয়ে কাজ করানো যাবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসজনিত কারণে সতর্কতার অংশ হিসেবে এখন কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের কাউকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অফিসের বাইরে ডাকা যাবে না। সচিবালয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশও আপাতত বন্ধ থাকছে। আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত এসব নিয়ম মেনেই চলবে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের কার্যক্রম।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ জুন) বিকেলে মোবাইল ফোনে সারাবাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, এই ১৫ দিন আমরা ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ বেসিসে কাজ করব। অন্তত সচিবালয়ে আমরা সর্বনিম্ন লোকবল নিয়ে কাজ চালাতে চাই। জরুরি বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা কাজ করছি। তাই কাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাই কেবল অফিসে আসবেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে বলে দিয়েছি, তারা যেন ২৫ শতাংশের বেশি জনবল এক ছাদের নিচে নিয়ে কাজ না করে। তাছাড়া এখন জরুরি নথিপত্রে সই করা ছাড়া সশরীরে অফিসে আসারও দরকার নেই। এখন তো স্বাভাবিকভাবে কাজ হচ্ছে না। যারা সশরীরে উপস্থিত হবেন না, তারা অনলাইনেই মিটিং কিংবা অন্যান্য কাজগুলো চালিয়ে নেবেন।

সরকার ‘সাধারণ ছুটি’র মেয়াদ না বাড়িয়ে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার নির্দেশনা দিয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম অফিস হয় গতকাল রোববার (৩১ মে)। প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম দিনটিতে অনেক মন্ত্রণালয়েই প্রায় সব কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছিলেন।

বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ অভিহিত করে ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সবাইকে বলে দিয়েছি, যেন এমন পরিস্থিতি আর না হয়। আমরা চাই কর্মকর্তাদের সুস্থ রাখতে। তারা যদি সবাই একসঙ্গে অফিস করেন এবং একসঙ্গে সবাই আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে ভবিষ্যতে কিভাবে কাজ হবে? এ কারণেই আমরা বলছি, সীমিত জনবল দিয়ে অফিস চালাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছেই। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আবারও সাধারণ ছুটির বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংক্রমণ যেন কমিয়ে আনা যায়, সেজন্যই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর এই সিদ্ধান্তে সব মহলই সায় দিয়েছে। সতর্কতার অংশ হিসেবে এ সময়ে যারা কাজ করবেন, তাদের কর্মঘণ্টাও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রযুক্তির সহায়তা বেশি বেশি নিয়ে অফিসে না এসেই কাজ চালিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সচিবালয়ে আপাতত দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্তত আগামী ১৫ দিন কোনো পাস ইস্যু করা হবে না। আমরা আশা করছি, সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ ঠিকঠাকভাবে মেনে চলতে পারলে আগামী দিনগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসবে।

এর আগে, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ২৬ মার্চ থেকে ১০ দিনের জন্য দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়তে থাকে। সবশেষ ৩০ মে এই সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হয়। টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ৩১ মে থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ার অনুমতি দেয় সরকার। একই শর্তে গণপরিবহনও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের পর রোববার থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলতে শুরু করেছে। সড়কে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহনও। আন্তঃজেলা বাস ছাড়াও নৌপথে চলছে লঞ্চ। আজ সোমবার থেকে বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও চলছে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ট্রায়াল অ্যান্ড এরর প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মন্ত্রণালয় সচিবালায় সরকারি অফিস সর্বনিম্ন লোকবল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর