Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাজেটে গ্রামীণ নারীর জন্য আরও বরাদ্দ থাকতে হবে


৮ জুন ২০২০ ০৩:১৮

ঢাকা: প্রচলিত বাজেট প্রক্রিয়া অত্যন্ত অস্বচ্ছ উল্লেখ করে বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছ্বতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে বাজেটে গ্রামীণ নারীর জন্য আরও বরাদ্দ রাখতে হবে। কৃষিকে নারীকে শ্রমিকের স্বীকৃতি দিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে যত প্রকল্প হচ্ছে, তাতে নারীর জন্য নির্দিষ্ট কোটা থাকতে হবে। নারী কৃষি শ্রমিকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ জুন) ‘গ্রামীণ নারী, আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও ভূমি সংস্কারের জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ: চলমান ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিশ্লেষণ এবং আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবনা‘ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এএলআরডি’র উদ্যোগে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এইচডিআরসি’র সহায়তায় ভার্চুয়াল এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা এতে করোনা চলাকালীন ও পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় হতদরিদ্র প্রান্তিক মানুষের চাহিদা বিবেচনায় বাজেটে তাদের জন্য ন্যায়সঙ্গত বরাদ্দ ও ব্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। তিনি বলেন, বিগত ৬৬ দিনে বাংলাদেশে শ্রেণিকাঠামো পাল্টে গেছে। নব্য দরিদ্র জনগোষ্ঠী তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪০ শতাংশ হয়েছে। সে হিসেবে এখন দেশে ৬ কোটি ৮০ লক্ষ দরিদ্র মানুষ আছে। তার মধ্যে বেশি প্রান্তিকতায় রয়েছে নারী। তবে তাদের এই সংকট কীভাবে মোকাবিলা করবে, তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা সরকারের নেই।

মাথাপিছু গড় বাজেট বরাদ্দের তুলনায় আদিবাসীদের জন্য ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ কম এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য ৪৬ থেকে ৪৭ শতাংশ কম বরাদ্দ দেওয়া হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদিবাসীদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো প্রকল্প নেই। যে নামেই বরাদ্দ দেওয়া হোক, তার সামান্য অংশই তাদের কাছে পৌঁছায়।

এবার বোরো মৌসুমে চালকল মালিক, ফরিয়া, পরিবহন মালিক চক্রের কারণে প্রতি কেজি ধানে কৃষক ১০ টাকা লোকসান দিয়েছেন উল্লেখ করে আবুল বারকাত সুপারিশ করেন, সরকারকে আরও অনেক ধান কিনতে হবে। এবারের বাজেটে তিনি কৃষি খাতে বরাদ্দ অনেক বেশি রাখাতে হবে বলে মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে তিনি শষ্য, জীবিকা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও গবাদিপশু বিমার কথা উল্লেখ করেন।

বিজ্ঞাপন

বারকাতের আরও কয়েকটি সুপারিশ হলো— করোনায় কোনো তথ্য গোপন করা যাবে না; গ্রামীণ নারীর জন্য বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে; কৃষিতে নারীকে স্বীকৃতি দিতে হবে; কৃষি ক্ষেত্রে যত প্রকল্প হচ্ছে, তাতে নারীর জন্য নির্দিষ্ট কোটা থাকতে হবে; নারী কৃষি শ্রমিকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করতে হবে; কৃষি পণ্যের বিপণন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে; বাজেটে আধিবাসীদের জন্য আলাদা অধ্যায় থাকতে হবে।

খুশী কবিরের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনায় সংযুক্ত ছিলেন এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। এতে আরও বক্তব্য রাখেন চাকমা রাণী য়েন য়েন, সাংবাদিক আবু সাঈদ খানসহ অন্যরা।

নারীদের বরাদ্দ বাজেট বাড়তি বরাদ্দের আহ্বান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর