সমাজসেবা অধিদফতরের ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত
৯ জুন ২০২০ ০১:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রার্দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতা করতে গিয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও নিজ নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (৮ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কাজে অংশ নিতে গিয়ে তারা আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ৮০ লাখ ৯ হাজার উপকারভোগীর মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকার ভাতা বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৪৪ লাখ, বিধবা ও স্বামী নিগ্রহের শিকার মহিলা ভাতা কর্মসূচিতে ১৭ লাখ, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচিতে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি কর্মসূচিতে ১ লাখ, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৫ হাজার ৭৬৭, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০ হাজার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭১ হাজার, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৫০ হাজার, বিভিন্ন দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্তদের আর্থিক সহায়তাপ্রদান কর্মসূচিতে ৩০ হাজার এবং বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্রান্টের আওতায় ৯৭ হাজার ৫০০ জন ভাতা পেয়েছেন।
অন্যদিকে, সুবিধাবঞ্চিত শিশু সুরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবার, ছয়টি এতিম ও প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, মহিলাদের তিনটি আর্থসামাজিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র, ছয়টি ছোটমনি নিবাস, একটি ডেকেয়ার সেন্টার, ১৩টি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র এবং তিনটি দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্রে সরকারি উপকারভোগী রয়েছে ১৭ হাজার। এছাড়া ৩৯২০টি বেসরকারি ক্যাপিটেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত বেসরকারি এতিমখানায় রয়েছে সাড়ে ৯৭ হাজার শিশু।
এর বাইরেও বিশেষ ত্রাণ হিসেবে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭৩ জনকে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে। উপকারভোগীর মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের ১ লাখ ২ হাজার ৭৩৬ জন, ঢাকা বিভাড়ের ৮৭ হাজার ৯৩২, রংপুর বিভাগের ২২ হাজার ৯৯৪ জন, বরিশাল বিভাগের ১৫ হাজার ৭০০ জন, খুলনা বিভাগের ১২ হাজার ৫৮৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১১ হাজার ১২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৫ হাজার ৫৭৪ জন, সিলেট বিভাগের ৫ হাজার ২৮৬ জন ও ঢাকা সিটির ১২ হাজার ৭৪৫ জন।
