প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনামুক্ত হয়ে এগিয়ে যাব: হানিফ
৯ জুন ২০২০ ২০:১৫
ঢাকা: বাংলাদেশ অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্তের মধ্য দিয়ে চলছে। শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্ব আজকে সংকটময় মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম হচ্ছে। করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছু বিপর্যস্ত। মানব জীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখুন। একমাত্র তার নেতৃত্বেই আমরা করোনা থেকে মুক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে পারবো, বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার (৯ জুন) আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে জুম মিটিংয়ে কোভিড-১৯ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর।
করোনায় মৃত্যুর হার অনেক কম আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘এর আগেও পৃথিবীতে অনেক ভাইরাস এসেছে কিন্তু করোনাভাইরাস বিশেষ করে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের একটা অংশ। এই কোভিড-১৯ হচ্ছে এপর্যন্ত যত ভাইরাস এসেছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ভাইরাস। এর মৃত্যুর হার কম কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যাটা অনেক বেশি। যার ফলে গোটা বিশ্বকেই বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। এখন সারাবিশ্বের মানুষের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কিভাবে এই ভাইরাস থেকে বের হয়ে আসতে পারা যায় বা সাধারণ মানুষ মুক্ত করা যায়। এই ভাইরাসের উন্নত বিশ্ব যেমন বিপর্যস্ত বাংলাদেশও একটা বড় সংকটময় যুগের মধ্য দিয়ে দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।‘
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার শুরু থেকেই কোভিড-১৯ মোকাবিলার জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য সরকার সঙ্গে সঙ্গে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। সরকার ছুটি ঘোষণা করে সারাদেশে সমস্ত অফিস আদালত বন্ধ করে লকডাউন ঘোষণা করেছিল যাতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন না হয়। যেহেতু এটা মারাত্নক সংক্রমণমূলক ব্যাধি তাই এটার কমিউনিটি ট্রান্সমিশন মুক্ত করতে পারলেই আমরা এই ভাইরাস থেকে মুক্ত হতে পারব। এই ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেশি কিন্তু মৃত্যুর হার অনেক কম। সেকারণে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
উন্নত দেশর চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘ইউরোপ আমেরিকায় বয়স্ক লোক বেশি থাকায় সেখানে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ। সেই তুলনায় বাংলাদেশের মানুষের ইমিউনিটি ক্ষমতা বেশি এবং বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যাও অনেক কম।’
তিনি বলেন, ‘যদি প্রথম থেকেই সরকারি নির্দেশগুলো মেনে চলতাম, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলতাম তাহেলে আমাদের যে পরিস্থিতি সংক্রামণের সংখ্যাটা এত দেখা যেত না।’
করোনায় মৃত্যুহার কমানোর জন্য বয়স্করা যারা বিভিন্ন রোগে ভুগছেন তাদের দিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের বয়স্ক ব্যক্তিরা যদি বেশি মাত্রায় সর্তক থাকেন বাকি যারা কর্মস্থলে যান তারা যদি সরকারি নির্দেশনাগুলো মেনে মাস্ক-হ্যান্ড গ্লাভস পরেন নাকে, মুখে হাত না দেওয়া যায় তাহলে এই সামান্য প্রস্তুত নিলেই করোনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি। মানুষ সচেতন হচ্ছে না বলেই ট্রান্সমিশনটান বেশি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন, ভরসা রাখুন। একমাত্র তার নেতৃত্বেই আমরা করোনা থেকে মুক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে পারব।’