৪ হাসপাতাল ঘুরে মারা গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা
১০ জুন ২০২০ ১৮:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ ছিল না চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগে নেতা শফিউল আলম ছগীরের। তারপরও বুকে ব্যথা নিয়ে একাধিক হাসপাতালে গিয়েও ভর্তি হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত গাড়িতেই মারা গেছেন তিনি। চিকিৎসা না পেয়ে এই নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
বুকে ব্যাথা অনুভবের পর বুধবার (১০ জুন) সকাল থেকে অন্তত চারটি হাসপাতাল ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে শফিউল আলম ছগীরের (৫৭) মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজন ও সংগঠনের নেতারা। ছগীর চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর সারাবাংলাকে জানান, সকাল সোয়া ১১টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব করেন ছগীর। প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে পরিবেশ দেখে ভর্তি করাতে চাননি স্বজনরা। পরে তাকে নেওয়া হয় বেসরকারি ক্লিনিক মেডিকেল সেন্টারে। সেখানে আইসিইউ বন্ধ ও চিকিৎসক না থাকার অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু জানিয়েছেন, মেডিকেল সেন্টার থেকে নেওয়া হয়েছিল মেট্রোপলিটন হসপিটালে। সেখান থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর নেওয়া হয় পার্কভিউ হাসপাতালে। সেখানেও প্রথমে ভর্তি করা হয়নি।
তখন কাউন্সিলর বাবু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেয়র ফোন করার পর তারা ভর্তি করাতে রাজি হন। কিন্তু এর মধ্যেই গাড়িতে ছগীর মারা যান বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবু।
এদিকে শফিউল আলম ছগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শোকবার্তায় নওফেল বলেন, ‘ছাত্রলীগ-যুবলীগ করে তৃণমূল থেকে উঠে আসা বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ছগীরের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন দক্ষ ও মেধাবী সংগঠককে হারালো। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।’