এই বাজেট প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক: মেনন
১১ জুন ২০২০ ২২:৪০
ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি ২০২০-২১ সালের বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হলেও, অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবনা এখনও প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রিক।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এরইমধ্যে চলতি বছরের প্রবৃদ্ধি হিসাব ৫.২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত দেশ ও বিশ্বের অর্থনীতির নীতির পরিস্থিতিতে ৮.২% প্রবৃদ্ধি কতখানি বাস্তবসম্মত সেটা ভেবে দেখার।’
মেনন বলেন, ‘উন্নয়ন ছয়মাস এক বছরের জন্য নেমে থাকতে পারে, কিন্তু জীবন এক লহমার জন্য থেমে থাকতে পারে না।। প্রবৃদ্ধিকে মানুষের জীবনের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া সঠিক নয়। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও এর ৩৫ ভাগ চলে যায় সরকারি কর্মচারীদের পেনশনে। চলতি বছরে বাজেটে ব্যাংকিংখাত সংস্কার, সার্বজনীন পেনশন স্কিমের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবারের বাজেটে তা অনুপস্থিত।’
তিনি, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ যেখানে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হবে তখন এই ভঙ্গুর ব্যাংকিংখাত টিকিয়ে রেখে সেটা কীভাবে সম্ভব? মেনন স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেও এটাকে নিতান্তই অপ্রতুল এবং এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের জিডিপির অংশ হিসেবে সর্বনিম্ন বলে অবিহিত করেন। স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকাও অপ্রতুল। এখন যখন কোভিড মোকাবিলায় আরও হাসপাতাল প্রয়োজন সেখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বসিয়ে রেখে এবং বেসরকারি খাতের মুনাফার কাছে ছেড়ে দিয়ে সেটি কি সম্ভব সেই প্রশ্ন রাখেন।’
তিনি কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং যান্ত্রিককরণের ক্ষেত্রে সমবায়ী মালিকানা প্রবর্তনের কথা বলেন।
মেনন বলেন, ‘বাজেটের রাজস্ব আহরণ প্রস্তাবনা নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এখনও বাজেটে অপ্রত্যক্ষ করই প্রধান যা সাধারণ মানুষকে আঘাত করে।’
তিনি সম্পদ ও মুনাফার ওপরে কর আরোপ না করায় বিস্ময় প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘এ দেশে ধনীদের আর কত ছাড় দেওয়া হবে?’