ঢাকা: দেশের চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিলেও বিশেষ কিছু রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। এর মধ্যে রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি অন্যতম। বৈঠকে ডাক না পাওয়ায় ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে ক্ষোভ জানানো হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরূল আহসানের পাঠনো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে আলোচনায় ডাকা হবে না বলে আমরা শুনেছি। এক যাত্রার পৃথক ফলের এরূপ সিদ্ধান্ত অন্তবর্তী সরকার কেন নিচ্ছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। এদেশের প্রতিটি গণ-সংগ্রামের লড়াকু, আইনী নিবন্ধিত পার্টি যার রাজনৈতিক ইতিহাসে আমাদের নাম লেখা রয়েছে। একটি পার্টির মতামত অগ্রাহ্য করার বিষয়টি পরিপূর্ণভাবেই বৈষম্যমূলক ও অগণতান্ত্রিক।‘
দলটির পলিটব্যুরোর বিৃবতিতে আরও বলা হয়, আইনি বিধিনিষেধ না থাকার পরও ওয়ার্কার্স পার্টিকে আলোচনা থেকে বঞ্চিত করার অধিকার এই অন্তবর্তী সরকারের নেই। একটি রাষ্ট্রীয় নিবদ্ধিত পার্টির অধিকার অস্বীকার করা হচ্ছে, যা স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয়। আমরা দাবি করবো দেশের চলমান রাজনৈতিক আলোচনায় দলগুলোর সাথে ওয়ার্কার্স পার্টিকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক।