Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃষ্টির দিনে চড়া কাঁচাবাজার


১২ জুন ২০২০ ১৮:৩৮

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে শাক-সবজির দাম। সবজি প্রকারভেদে কেজি ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে কাঁচা তরকারির সরবরাহ কম, এই কারণে দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১২ জুন) রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে সবজির দাম বাড়ার এ চিত্র দেখা গেছে।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যে টমেটো কেজি ছিল ৪০ টাকা, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি। করলা ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, চালকুমড়া আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, শশা ৫০ টাকা, এছাড়া লাউ মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা আর কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে ধনিয়া পাতার।

সবজি বিক্রেতা রফিকুল বলেন, ‘এই সময়ে এমনিতেই সবজি কম থাকে। তারপর বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনে আনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে।’

মুদি দোকানদার রাসেল জানান, নিত্যপণ্যের জিনিসের দাম আগের মতই আছে। কোন কিছুরই দাম বাড়েনি। বরং পেঁয়াজ, রসুনের দাম কমেছে। তিনি জানান, চালের দাম কেজিতে কিছুটা বেড়েছে। মিনিকেট চাল খুচরা বিক্রি হচ্ছে কোম্পানি ভেদে ৫৬ থেকে ৬০ টাকা। বাসমতি ৬১ টাকা, নাজিরশাহী ৬৫ টাকা, আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। পোলাওয়ের চাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি।

এদিকে, বাজারে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডালের দাম। কেজিতে ৫ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

তবে মাছের দরে তেমন হেরফের দেখা যায়নি। মাছ বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, বড় সাইজ এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি আর ছোট সাইজ বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে। তেলাপিয়া ১৬০ টাকা কেজি, চিংড়ি আকার অনুসারে দাম ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। আর রুই-কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বেড়েছে বয়লার মুরগীর দাম। গত সপ্তাহ থেকে কেজি প্রতি এর দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বাজারে এখন ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বয়লার মুরগী আর লালমুরগী বিক্রি হচ্ছে ২৪০টাকা। গরুর মাংস বরাবরের মত ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি ক্রেতা মনজিলা আক্তার বলেন, ‘সব সবজির দাম বাড়ছে। বাজার থেকে এখন আর ব্যাগ ভরে বাজার করতে পারি না। এমনিতেই আয়-রোজগার নাই। তার উপর সবকিছুর দাম বেড়েই চলেছে, মনে হচ্ছে এই শহর ছেড়েই চলে যেতে হবে।’

বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় কাঁচাবাজারে ভিড় বেড়েছে। যেখানে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। স্বাভাবিক দিনের মতই বাজার করে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

কাঁচাবাজার শাক-সবজির দাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর