‘জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব এই নেতার শূন্যতা পূরণ হবে না’
১৩ জুন ২০২০ ২৩:৫৬ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৩:৫১
ঢাকা: জাতীয় চার নেতার অন্যতম ছিলেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী। আজীবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য লড়াই করেছেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি আস্থা রেখে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। বাবার মতোই মোহাম্মদ নাসিমও আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা-বিশ্বাস রেখে দলকে সংগঠিত করেছেন। দলের যেকোনো বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাঠে। নেতাকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন সবচেয়ে জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব নেতা। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার মতো নয়।
দুই মেয়াদে চার চারটি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা সদ্যপ্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলছেন, বিভিন্ন সময় দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব যেমন সফলভাবে পালন করেছেন মোহাম্মদ নাসিম, তেমনি কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র হিসেবেও তিনি ছিলেন সফল।
আরও পড়ুন- ক্যাপ্টেন মনসুরের পথ ধরেই রাজনৈতিক কিংবদন্তি নাসিম
শনিবার (১৩ জুন) সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিম। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করেন তিনি। এরপর অস্ত্রেপচার সফল হলেও তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর সংবাদ আমাদের অন্তরে আঘাত করেছে। তার প্রয়াণ কেবল আওয়ামী লীগ নয়, দেশের জন্যও অপূরণীয় ক্ষতি। নাসিম ছিলেন দেশপ্রেমিক, দেশের মানুষের নেতা। আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য এবং তার নেতৃত্বের সফলতা আনার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। সবসময় আমরা একসঙ্গে ছিলাম। আমি আর নাসিম যখন আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিলাম, একসঙ্গে একই বাসায় থাকতাম। একইসঙ্গে সব কর্মসূচি পালন করতাম। ওয়ান-ইলেভেনের সময় একবার ব্রেন সেট্রাক করেছিলেন তিনি। তখন সুস্থ হলেও পুরোপুরি সুস্থ হননি। হাঁটাচলায় কিছু অসুবিধা ছিল। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। ১৪ দলের মুখপাত্র হিসেবে ১৪ দলকে সচল রেখেছিলেন। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ১৪ দলের কর্মসূচি নিয়ে সারাদেশ ঘুরতেন।
তিনি বলেন, রাজনীতির ময়দানে নাসিম ছিলেন একটি বলিষ্ঠ নাম। সত্যিকারে রাজনীতিবিদ, আদ্যোপান্ত রাজনীতির মানুষ হিসেবে তাকে আমরা চিহ্নিত করতে পারি।
আরও পড়ুন- নাসিমের জানাজা রোববার সকালে, সমাহিত হবেন মায়ের কবরে
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের আরেক সদস্য সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহিদ এম মনসুর আলীর সুযোগ্য পুত্র মোহাম্মদ নাসিম ছিলেন একজন সংগ্রামী নেতা। তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু যতদিন বেঁচে ছিলেন, প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
নাসিমকে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক অভিহিত করে তোফায়েল বলেন, তিনি অনেক জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সাজা দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে তিনি ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে জীবনে যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, পরাজিত হননি কোনোটিতেই।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নাসিম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘদিন। ১৯৯২ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক হন। তারপর থেকে তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর সঙ্গে ১৪ দলের মুখপাত্রও ছিলেন। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতা এলে প্রথমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, পরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং সবশেষ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ নাসিম।
আরও পড়ুন- আমি এক বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী
তার রাজনৈতিক অবদানের স্মৃতিচারণ করে তোফায়েল বলেন, অনেক আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। অনেকবার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু থেমে থাকেননি। নাসিম একজন বড় মাপের নেতা ছিলেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের হুইপ ছিলেন, তারপর ১৯৯১ সালেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে মন্ত্রী হয়েছেন, ২০১৪ সালেও মন্ত্রী হয়েছেন। মাঝে মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি, তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় কাজীপুর থেকে নির্বাচিত হন। কিন্তু নাসিম জীবনে কোনোদিন কোনো নির্বাচনে হারেননি। এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব আমাদের কাছ থেকে চলে গেল। তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়। আওয়ামী লীগে সত্যিকার অর্থে একজন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সাহসী নেতা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিম গভীর সমবেদনা জানান মোহাম্মদ নাসিমের পরিবারের প্রতি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন সৈনিক। তিনি সারাজীবন কাজ করেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন। জেল খেটেছেন, কিন্তু আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুতি হননি। তিনি ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। জনগণের সঙ্গে ছিল তার আত্মার সম্পর্ক। তার সমস্ত কর্মকাণ্ড ছিল জনকল্যাণকর। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, এক বর্ণাঢ্য জীবনের অবসান হয়ে গেল আজ। তার মৃত্যুতে আজকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। তার মৃত্যুতে বলবার মতো সমস্ত ভাষা হারিয়ে ফেলছি। দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের বাঁকে বাঁকে তিনি যেমন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছিলেন, তেমনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। একইসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও তিনি লড়াই করেছিলেন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নিরলসভাবে লড়াই করেছিলেন।
আরও পড়ুন- মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের শোক
আব্দুর রহমান বলেন, তিনি নিজ এলাকাতেই কেবল নয়, সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকদের কাছে প্রিয় নেতা ছিলেন। তার মৃত্যু হলেও যে সংগ্রামী জীবনের নজির রেখে গেছেন আমাদের সামনে, তার কোনো মৃত্যু নেই। এ দেশের মানুষ সারাজীবন মোহাম্মদ নাসিমদের মনে রাখবে। মোহাম্মদ নাসিম এ দেশের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে জাতি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং আপাদমস্তক একজন রাজনীতিবিদকে হারালো। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর যে কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার জন্য জেল-জুলুম-নির্যাতন ভোগ করেছেন, তার মধ্যে মোহাম্মদ নাসিম অন্যতম। সামরিক স্বৈরাচার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং রাজপথ থেকে লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। পিতা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী যেমন আজীবন বঙ্গবন্ধুর জন্য লড়াই করেছেন, মোহাম্মদ নাসিমও শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা বিশ্বাস রেখেই আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
এদিকে, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর খবর জানার পর পর দলীয় নেতারা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে শ্যামলীর ওই হাসপাতালে ছুটে যান। শেখ হাসিনা হাসপাতালে উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সার্বিক বিষয়ে নির্দেশনা দেন বলে জানান দলের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর হাসপাতালের সামনে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সিপাহসালার ছিলেন আমাদের প্রিয় নাসিম ভাই। তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগসহ দেশবাসী আজ শোকাহত। করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেও শত মানুষের ভিড় আজ আপনারা দেখছেন হাসপাতালে। এটাই প্রমাণ করে, উনি গণমানুষের নেতা ছিলেন।
আরও পড়ুন- নাসিমের মৃত্যুতে সিরাজগঞ্জ জেলা আ.লীগের ৭ দিনের শোক ঘোষণা
নানক বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা নাসিম ভাই চলে যাওয়ায় আমরা আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সব কর্মসূচিগুলি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করব। আপনারা যে যেখানে আছেন, সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে যেন বেহেশত নসিব করেন, তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে যেন আল্লাহ শোক সহ্য করার শক্তি দান করেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এই নেতা আরও বলেন, সেই কাজীপুরের মানুষেরা চাতক পাখির মতো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, কান্নায় ভেঙে পড়েছে। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমরা তার মরদেহ সিরাজগঞ্জ কাজীপাড়ায় নিতে পারছি না। আমরা চাই না, তাকে ঘিরে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ হোক, মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ুক। আপনারা যে যেখানে আছেন, সেখান থেকে তার জন্য দোয়া করবেন।
এরপর কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়। তিনি বলেন, গত প্রায় ১০ দিন ধরে তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমার বাবা আমার দাদার মতোই আজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা মানুষের চোখের জল উপেক্ষা করতে হলেও বাবার মরদেহ সিরাজগঞ্জে নিচ্ছি না। সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা আপনাদের নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন মন থেকে, দোয়া করবেন দূর থেকে।
আরও পড়ুন- এই লড়াইয়ে হেরে গেলেন মোহাম্মদ নাসিম
হাসপাতালের সামনেই আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, রোববার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী কবরস্থান মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে তার লাশ দাফন করা হবে। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনগণের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয় বিবেচনায় রেখে তার মরদেহ জন্মভূমি সিরাজগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।
এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীমসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আমির হোসেন আমু জাহাঙ্গীর কবির নানক টপ নিউজ তানভীর শাকিল জয় তোফায়েল আহমেদ নাসিমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ নেতাকর্মীদের শোক মোহাম্মদ নাসিম মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যু