‘পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সীমিত আকারে চলবে অর্থনৈতিক কাজ’
১৪ জুন ২০২০ ২০:৫৫
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ৩০ মে সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে আবারও সীমিত আকারে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস-আদালত এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করার নির্দেশ দেয় সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অফিস-আদালত এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার নির্দেশ বহাল থাকবে।
সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না, অফিস চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন রোববার (১৪ জুন) সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সীমিত আকারে যেভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে, সেভাবেই চলবে। আর এর মধ্যে আমরা জোনিং (করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলোকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন রঙে) চিহ্নিত করার কাজ করছি। এই জোনিংয়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যেসব এলাকা রেড জোন হিসেবে লকডাউন করার জন্য বলবে, সেসব এলাকায় লকডাউনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘আগামী ১৫ দিন ট্রায়াল অ্যান্ড এরর বেসিসে কাজ করব’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘প্রথমে আমরা কোনটা রেড জোন তা শনাক্ত করার কাজ করছি। শনাক্তের পর চিহ্নিত এলাকার ব্যবস্থাপনা ঠিক করা হবে। তারপর সেই এলাকার নাম ঘোষণা করা হবে। আর যে এলাকা রেড জোন বা লকডাউনের আওয়তায় থাকবে, ওই এলাকাত সাময়িক ছুটির আওতায় পড়বে।’
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঢাকা এবং চট্টগ্রামের এলাকাগেুলোকে রেড, ইয়েলো এবং গ্রিন জোনে ভাগ করছে। এদের মধ্যে কমবেশি অর্ধশত এলাকা রেডজোনে রয়েছে। রেডজোনে সম্পূর্ণ লকডাউন নিশ্চিত করতে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারে গত সপ্তাহ থেকে লকডাউন ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা থেকে রেডজোন এর করণীয় বা লকডাউন সম্পর্কে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।