Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো ৩০ জুন পর্যন্ত


১৫ জুন ২০২০ ১৭:২৮

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলাচলে বিধি-নিষেধের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১৬ জুন মঙ্গলবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাত আটটা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। জরুরি কাজের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র কেনাকাটা, চিকিৎসা সেবা এবং দাফন কিংবা সৎকার বলা হয়েছে। যারা বাইরে যাবেন তাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন জনসাধারণ ও সব কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশ পালন করতে হবে। হাটবাজার ও দোকানপাটে কেনাকাটার সময় পারস্পারিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে। শপিং মলের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা ক্রেতাদের যানবাহন জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটবাজার, দোকানপাট ও শপিং মল বিকেল চারটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।

আইন শৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন- ত্রাণ বিতরন, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (স্থল, নদী ও সমুদ্র) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাকসেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এবং তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

সড়ক ও নৌপথে সবধরনের পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কার্গো, ভেসেল) চলাচল করতে পারবে। কৃষি, সার, বীজ, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মী এবং ওসুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মী, গণমাধ্যম (ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট) এবং ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীরা এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

ওষুধশিল্প, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও রফতানিমুখী শিল্পসহ সব কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধির সম্পর্কিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তবে অনলাইন কোর্স ও ডিস্টেন্স লার্নি অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রশাসনকি কার্যকম চালাতে পারবে।

এছাড়া অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রিত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। অনুমোদিত অঞ্চলে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান, রেল ও বিমান চলাচলা করতে পারবে। তবে সবক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার এবং জারি করা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণ-জমায়েত বা অনুষ্ঠান আয়োজন করা যাবে না। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুশাসন ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদগুলোতে জামায়াতে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনা অব্যাহত থাকবে।

৩০ জুন চলাচল নিষেধাজ্ঞা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর