শুধু লাল জোনে সাধারণ ছুটি, হলুদ-সবুজে চলাচলে বিধিনিষেধ
১৫ জুন ২০২০ ১৭:৫৮
ঢাকা: করোনাভারাইরাসের সংক্রমণ রোধে লাল জোনে অবস্থিত সামরিক বা অসামরিক, সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা স্বায়ত্বশাসিত বা বেসরকারি দফতর এবং ওই অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর হলুদ ও সবুজ জোনে বসবাসকারীদের সীমিত পরিসরে চলাচলে বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।
অবশ্য এর আগে বিকেলে জারি করা প্রজ্ঞাপনে হলুদ জোনেও সাধারণ ছুটির কথা বলা হয়েছিল। পরে সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে শুধুমাত্র লাল জোনে সাধারণ ছুটির কথা বলা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃক Bangladesh Risk Zone Based COVID-19 Containment Implementation Strategy Guide অনুসরণ করে সংক্রমণের ভিত্তিতে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুযায়ী চিহ্নিত করা লাল, হলুদ ও সবুজ অঞ্চল হিসেবে ভাগ করে জেলা/উপজেলা/এলাকা/বাড়ি/মহল্লাভিত্তিক জনচলাচল/জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জোনের জন্য কোভিড নমুনা পরীক্ষা, কোভিড-ননকোভিড স্বাস্থ্যসেবা প্রটোকল, কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেশন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জন চলাচল, যান চলাচল, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ, দরিদ্র লোকদের মানবিক সহায়তা দেওয়া, মসজিদ-মন্দির ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্ম চর্চা, জনসচেতনতা তৈরি, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যাংকিং সুবিধাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান/শিল্প প্রতিষ্ঠান/বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনার বিষয়ে স্টার্ন্ডাড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অথবা বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বাড়লো ৩০ জুন পর্যন্ত
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভারাইরাসের সংক্রমণ রোধে লাল জোনে অবস্থিত সামরিক বা অসামরিক, সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা স্বায়ত্বশাসিত বা বেসরকারি দফতর এবং ওই অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এছাড়া হলুদ ও সবুজ জোনের সকল সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে। নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সন্তান সম্ভবা নারীরা কর্মস্থলে যাবেন না এবং যারা নিয়মিত অফিস করবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে এবং সভা বা বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে করতে হবে।
সিটিগুলোতে অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের সার্বিক দায়িত্ব থাকবে সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে জেলা প্রশাসক সার্বিক সমন্বয় করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দফতর সমন্বিতভাবে একাজ বাস্তবায়ন করবে। এ কার্যক্রমে সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও সেচ্ছাসেবীসহ অন্যান্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অনুরোধ অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জোন সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয় করবে।