সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও খেলাপি হবে না
১৫ জুন ২০২০ ২০:২৬
ঢাকা: ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ জুনের পর আরও তিন মাসের জন্য বাড়লো। এর ফলে করোনভাইরাস পরিস্থিতির কারণে কোনো ঋণগ্রহীতা আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও তাদের ঋণের শ্রেণিমানে কোনো পরিবর্তন হবে না। অর্থাৎ তিনি ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকণে এই শিথিলতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে, কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে জুন পর্যন্ত শ্রেণিকরণ স্থগিতের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণ গ্রাহক ব্যাংকের ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করলেও তাকে ঋণ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। একইসময়ে কিস্তি পরিশোধ না করার কারণে কোনো ধরনের ফি বা মাশুল নেওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় সার্কুলারের মাধ্যমে ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, গত ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত তার মান কমানো যাবে না। তবে, কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে। করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কায় কিস্তি না দিতে পারা ঋণের শ্রেণিমানে অবনতি না ঘটানোর এ নির্দেশনা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। তবে কোনো ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথানিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ১ জানুয়ারি বিদ্যমান মেয়াদি (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) ঋণ/বিনিয়োগের বিপরীতে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রদেয় কিস্তিগুলো ‘ডেফার্ড’ হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট ঋণ/বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনঃনির্ধারিত হবে। এসময় জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যতগুলো কিস্তি দেওয়ার কথা ছিল, কিস্তির সংখ্যা ততগুলো বাড়বে। আর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো কিস্তি পরিশোধ না করলেও এর জন্য ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন না।