‘করোনায় আক্রান্ত ও মৃতদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে’
১৬ জুন ২০২০ ০০:১৩
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের তথ্য সংগ্রহ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা। শীঘ্রই বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনসহ স্বাস্থ্যখাতের আওতাভুক্ত এসব সংস্থা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরতে পারবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন, লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রাণহানি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দেশের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি।
কানাডার বাংলা পত্রিকা নতুনদেশের প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঙ্গে ‘বাংলাদেশে এতো চিকিৎসক কেন মারা যাচ্ছেন’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশের কেন এতো চিকিৎসক মারা যাচ্ছেন- এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে নানা বয়সের দক্ষ চিকিৎসকগণ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, মারা যাওয়া চিকিৎসকদের কারো কারো কোমরবিডিটি ছিলো। তাদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে এটি হয়তো ভূমিকা রেখে থাকতে পারে।
করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত ভাইরাস টেস্টিংয়ে যেতে হয় বলে উল্লেখ করে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট সময় হাসপাতালে কাজ করার পর তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, একজন সুস্থ চিকিৎসক সপ্তাহে ৬ দিন হাসপাতালগুলোতে সেবা দিতে পারতেন। কিন্তু আমরা ১০ দিন কাজ করানোর পর বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইনে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তখন অন্য একটি গ্রুপ এসে দায়িত্ব পালন করে। ১৪ দিন পর পুনরায় ভাইরাসের টেস্ট করে নিশ্চিত হয়েই তাদের আবার চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত করা হয়। এতো সতর্কতার পরেও দুঃখজনক ঘটনাগুলো ঘটছে বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
নতুনদেশ সম্পাদক শওগাত আলী সাগর আলোচনায় নিম্নমানের মাস্ক, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীর ঘাটতি নিয়ে সাধারণ চিকিৎসক এবং জনসাধারণের বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করেন।