রাশেদ চিশতীর আবেদন শোনেনি চেম্বার আদালত, মিলছে না কারামুক্তি
১৬ জুন ২০২০ ১৩:২২
ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় ফারমার্স ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ছেলে রাশেদুল হক চিশতীর জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে করা আবেদন শোনেনি চেম্বার আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) এ সংক্রান্ত আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী। পরে তিনি আবেদনের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফলে আপাতত তার কারামুক্তির কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
দুদক আইনজীবী বলেন, ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভুত এবং অর্থপাচার সংক্রান্ত আমাদের তিনটি আবেদন এবং রাশেদুলের পক্ষে একটি আবেদন আজকে চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু আদালত আবেদনগুলো শুনতে অপরগতা প্রকাশ করেছেন। তিনি আবেদনগুলো প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন প্রধান বিচারপতি ঠিক করবেন পরবর্তী শুনানির জন্য। ফলে আপাতত রাশেদুলের কারামুক্তি হচ্ছে না।’
গত ২৭ মে রাশেদুল হক চিশতীকে দেওয়া জামিন নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সেলিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রাশেদুল হক চিশতী।
এর আগে গত ১৯ মে রাশেদুল হক চিশতীকে ঢাকার নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছিলেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রায় ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল গুলশান থানায় মো. মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী, স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ব্যাংকটির ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকটির গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় রাশেদুল হককে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালত এ মামলায় রাশেদ চিশতীকে জামিন দিলেও হাইকোর্টে তা স্থগিত হয়ে যায়।