চেয়ারম্যানসহ ১০ ইউপি সদস্য বরখাস্ত, মোট ১০০
১৭ জুন ২০২০ ২০:২৫
ঢাকা: করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নগদ অর্থ সহায়তা, হতদরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দ করা চাল আত্মসাৎ এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে একজন চেয়ারম্যান এবং ১০ জন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে ত্রাণে অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগে ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।
বুধবার (১৭ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম মিয়া এবং জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদা বেগমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়া, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র জনসাধারণের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎ, উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম; মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার ৮ নম্বর নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কাঞ্চন মিয়া; ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ৪ নম্বর কুমারগাতা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মফিজুল ইসলাম ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রইছ উদ্দিন; জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়ন পরিষদের ৪-৫-৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য পারভীন আক্তার ও ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. লোকমান হোসেন; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭-৮-৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মোসা. মুসলেমা বেগম; এবং নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলাধীন ৬ নম্বর চরকিং ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া এসব সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, তার জবাব চাওয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে এই জবাব পাঠাতে বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১০০ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, চার জন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান।