মিয়ানমারে এখনও জাতিগত নিধন চলছে: জাতিসংঘ
৬ মার্চ ২০১৮ ১৯:৪১
সারাবাংলা ডেস্ক
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন অব্যাহত আছে। নিধনের শুধু রূপ বদলেছে। হত্যা-ধর্ষণের বদলে এখন রোহিঙ্গাদের বাধ্যতামূলক অভুক্ত রাখা হচ্ছে- জাতিসংঘের মানবাধিকার দূতের বরাত দিয়ে এএফপি মঙ্গলবার জানিয়েছে এ তথ্য। সামরিক অভিযানের কারণে সংখ্যালঘু মুসলিম গোষ্ঠীর হওয়ার ছয় মাস পরে জাতিসংঘ এ তথ্য দিলো।
গতবছর অগাস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা থেকে প্রাণ বাঁচাতে, ধর্ষণ, খুন ও অগ্নিসংযোগের স্মৃতি নিয়ে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
যদিও রোহিঙ্গাদের একটি বড় সংখ্যক মানুষ পালিয়ে এসেছে তাও এখনও প্রতি সপ্তাহে কয়েক শ রোহিঙ্গা পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশের সীমানায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্ড্রু গিলমোর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার পরে জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধন অব্যাহত আছে। কক্সবাজারে আমরা যা দেখে এসেছি তা থেকে এ ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না।
সহিংসতার ধরণ এখন আর হত্যা বা ধর্ষণ নেই, বরং রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাধ্য করার হচ্ছে অভুক্ত থাকতে। যেন তারা বাংলাদেশ আসতে বাধ্য হয়। জানান গিলমোর। তিনি আরও যোগ করেন, সদ্য আসা রোহিঙ্গারা সীমান্ত থেকে অনেক দূরে রাখাইনের শহরগুলোতে বাস করতেন।
গিলমোর তার বক্তব্যে আরও জানান, এরকম পরিস্থিতে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যতেও মিয়ানমারে ফেরা অসম্ভব। যদিও মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুত করেছে।
গিলমোর বলেন, মিয়ানমার একদিকে সারা পৃথিবীকে জানাচ্ছে তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে প্রস্তুত অপরদিকে তারাই রোহিঙ্গাদের আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে।
‘এ পরিস্থিতিতে নিরাপদ, স্বসম্মানে বাড়ি ফিরে যাওয়া রহিঙ্গাদের জন্য অসম্ভব।’ বলেন জাতিসংঘের এ অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল।
সারাবাংলা/এমএ