করোনাকালে নারীর প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন
৫ জুলাই ২০২০ ০২:১৭
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির এই সময়ে নারীদের প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারিতে সংসারে নারীর প্রতি যত্নবান হোন। তাদের প্রয়োজনগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। সংবেদনশীল আচরণ করুন এবং সহযোগিতা করুন।
শনিবার (৪ জুলাই) নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, বেশিরভাগ সংসারী নারী ঘরের প্রাথমিক ও একমাত্র সেবাদানকারী। যেকোনো সংকটে তার কাজের চাপ ও মানসিক চাপ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া নারীর নিয়মিত মাসিক-পূর্ব ও পরবর্তী বিষন্নতা, প্রসবোত্তর বিষন্নতা ও পঞ্চাশোর্ধ নারীদের পোস্ট মেনোপেজ উপসর্গ বা বিষন্নতা, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ইত্যাদি বিষয়গুলো বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে। তাদের প্রয়োজনগুলোকে অগ্রাধিকার দিন। সংবেদনশীল আচরণ করুন এবং সহযোগিতা করুন। নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করুন।
তিনি বলেন, করোনাকালে বাগান করলে কিংবা পোষা পশু-পাখিকে আদর-যত্ন করলেও মন ভালো থাকে। যারা একা থাকেন এবং কোনো পোষ্য নেই, তাদের জন্য নিয়মিত ঘুম, শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, ভার্চুয়ালি সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, সুস্থ বিনোদন যেমন— নাচ, গান, সিনেমা দেখা, ছবি আঁকা, বাগান করা, এমনকি রান্না করার মতো কর্মকাণ্ড মানসিক চাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। সবাই এই করোনা মহামারিকালে মানসিকভাবে উজ্জীবিত থাকবেন। নিজে কিভাবে ভালো থাকবেন, সেই পথ আপনি খুঁজে নিতে পারেন নানারকম সৃষ্টিশীল ও ভালো কাজের মধ্যে।
‘অন্যকে সাহায্য করাও একটি ভালো কাজ। যতটুকু পারবেন, অন্যকে সাহায্য করুন। এতেও আপনার মন অনেক ভালো থাকবে,’— বলেন অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এদিন ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, সারাদেশে গত ২৪ নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) আক্রান্ত ২৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ২৯ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৯৯৭ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৩ হাজার ২৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা অনলাইন বুলেটিন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নারীর প্রতি যত্ন নারীর প্রয়োজন স্বাস্থ্য অধিদফতর