বয়স্ক-শিশু-অসুস্থদের পশুর হাটে না যাওয়ার আহ্বান মেয়র আতিকের
৫ জুলাই ২০২০ ২২:০৩
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিদের পশুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
রোববার (৫ জুলাই) কোরবানির পশুর হাট ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় মেয়র এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি জীবন রক্ষার্থে নাগরিকদেরকে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি ও সিটি করপোরেশনের সব নির্দেশনা মেনে চলারও আহ্বান জানান।
করোনা ভাইরাস মহামারির এই সময়ে জনসাধারণের স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা ছাড়া পশুর হাটের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত কঠিন উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু ও বয়স্করা যারা বিগত বছরগুলোতে পছন্দের পশুটি কিনতে বিভিন্ন হাটে যেতেন, আমি অনুরোধ করব, এ বছর আপনারা এভাবে গরুর হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।‘
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আমরা এ বছর ঢাকা শহরের ভেতরের বড় বড় কয়েকটি হাট শহরের প্রান্তসীমায় নিয়ে যাচ্ছি। এতে অনেক আর্থিক ক্ষতি হবে। এতে সিটি করপোরেশনের স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি টাকা লস করবে। কিন্তু তারপরও জনগণের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাটের ইজারাদারদের অবশ্যই আমাদের নির্দেশনা মতো নিয়ম মেনে হাট পরিচালনা করতে হবে। তা না হলে তাদের যে সিকিউরিটি মানি থাকবে সেটি বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী দূরত্ব নিশ্চিত, পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও সচেতনতামূলক মাইকিং থাকবে। এসব হাট আমাদের কাউন্সিলর ও ম্যজিস্ট্রেটরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখবেন।’
সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা এবারও আশা করছি কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার আগেই অপসারণ করতে সক্ষম হব। এটি নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সকল কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের সকল কর্মকর্তাসহ আমি নিজেও মাঠে থাকব।’
মেয়র সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, ‘কেবল সচেতনতাই পারে আমাদেরকে, আমাদের পরিবারকে, এই শহরকে এবং এই দেশকে মহামারি থেকে বাঁচাতে। তাই আসুন আমরা সাবধান হই, মহামারি থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’
সভায় ডিএনসিসির সব কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, ডিনসিসির প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলীসহ সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।