ঢাকা: করোনাকালে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগকে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
দলটি বলছে, মহামারি দুর্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাভাবিক রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কার্যক্রম যখন প্রায় বন্ধ, তখন আরপিও’র বিধিবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের নেতিবাচক ও প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকাকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
রোববার (৫ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন বক্তব্য তুলে ধরেন সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। করোনা মহামারিজনিত দুর্যোগের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে ‘রাজনৈতিক দলেন নিবন্ধন আইন’ সংশোধনের তৎপরতাকে ‘দায়িত্বহীন, অবিবেচনাপ্রসূত ও বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে এই তৎপরতা স্থগিত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম ও মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক এবং ঢাকা মহানগর নেতা জোনায়েদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নৈতিক জোর ও গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিধান থেকে তারা এখন সরে আসতে চাইছে। ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শের ভিত্তিতে কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে পাঁচ থেকে ১০ বছরের নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করতে হবে কমিশনকে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় ক্ষমার অযোগ্য পরিচয় দিয়েছে তারা। নির্বাচনের কমিশনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও কার্যকারিতাকে ভুলুণ্ঠিত করেছে। ফলে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনি ব্যবস্থার প্রতি এক প্রবল গণঅনাস্থা ও গণহতাশা তৈরি হয়েছে। তাই আস্থা ফিরিয়ে আনতে নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হবে।