স্বাস্থ্য অধিদফতরে ১৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘কালো তালিকাভুক্ত’
৯ জুলাই ২০২০ ১৯:৪০
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিমতের আলোকে দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধের জন্য ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের দাফতরিক কেনাকাটা না করতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠানকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে, সেগুলো হলো— রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, অনিক ট্রেডার্স, আহমেদ এন্টারপ্রাইজ, ম্যানিলা মেডিসিন, মেসার্স এস কে ট্রেডার্স, এমএইচ ফার্মা, অভি ড্রাগস, আলবিরা ফার্মেসি, এস এম ট্রেডার্স, মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানি, ইউনির্ভাসেল ট্রেড করপোরেশন, এএসএল ও ব্লেয়ার এভিয়েশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে এবং দুর্নীতি, প্রতারণা ও চক্রান্তমূলক কার্যক্রম প্রতিরোধ করতে ১৪টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ তাদের স্বত্বাধিকারীদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। মামলার তালিকা পাঠিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীদের কালো তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন বলে দুদক অভিমত জানিয়েছে।
দুদকের অভিমতের আলোকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ তাদের স্বত্বাধিকারীদের বিরুদ্ধে দুদকের সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ তাদের স্বত্বাধিকারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের দাফতরিক কেনাকাটায় যুক্ত হওয়া যাবে না। এ বিষয়ে এর আগেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
‘কালো তালিকাভুক্ত’ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্বত্বাধিকারী রুবিনা খানম। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবরক্ষক মো. আবজাল হোসেনের স্ত্রী। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত প্রায় ২৮৫ কোটি টাকা পাচার এবং ৩৪ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করেছিল দুদক।
বাকি যেসব প্রতিষ্ঠান মালিকদের সঙ্গে কেনাকাটা করতে নিষেধ করা হয়েছে, তারা হলেন— অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আহমেদ এন্টারপ্রাইজের মুন্সী ফররুখ হোসাইন, ম্যানিলা মেডিসিন অ্যান্ড এস কে ট্রেডার্সের মনজুর আহমেদ, এমএইচ ফার্মার মোসাদ্দেক হোসেন, অভি ড্রাগসের মো. জয়নাল আবেদীন, আলবিরা ফার্মেসির মো. আলমগীর হোসেন, এস এম ট্রেডার্সের মো. মিন্টু, মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মো. আব্দুস সাত্তার সরকার ও মো. আহসান হাবিব, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিকেল কোম্পানির মো. জাহের উদ্দিন সরকার, ইউনির্ভাসেল ট্রেড করপোরেশনের মো. আসাদুর রহমান, এ এস এলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ এবং ব্লেয়ার এভিয়েশনের মো. মোকছেদুল ইসলাম।
কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতারণা স্বাস্থ্য অধিদফতর