গোয়েন্দা পরিচয়ে যুবককে জিম্মি, গ্রেফতার ৫
১২ জুলাই ২০২০ ২০:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে এক যুবককে জিম্মি করে টাকা দাবির অভিযোগে দুই নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ।
শনিবার (১১ জুলাই) রাতে নগরীর কালামিয়া বাজার এলাকায় একটি বাসা থেকে ওই যুবককে উদ্ধারের পাশাপাশি পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রাইসুল ইসলাম।
গ্রেফতার পাঁচজন হল- মনোয়ারা বেগম মণি (৪০), মৌসুমি দাস (২৮), কামরুল ইসলাম (৩০), ইয়াসিন আরাফাত (২২) ও ইফতু হোসাইন (২২)।
ঘটনার শিকার মো. মোজাফফর (২৮) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ছগির আহম্মদের ছেলে। তিনি নগরীর জহুর হকার্স মার্কেটে একটি তৈরি পোশাকের দোকানে চাকরি করেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, হকার্স মার্কেটে মোজাফফর যে দোকানে চাকরি করেন, সেখান থেকে নিয়মিত পোশাক কিনতো মনোয়ারা। সেই সুবাদে তার সঙ্গে পরিচয়। মাঝে মাঝে মনোয়ারার বাসায়ও যেতেন মোজাফফর। শুক্রবার সন্ধ্যার পর মনোয়ারা ভাতের দাওয়াত দিয়ে তাকে কালামিয়া বাজার এলাকায় ইলিয়াছ ভবনের চতুর্থ তলার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকে মৌসুমিও ছিল।
‘মোজাফফর বাসায় কিছুক্ষণ অবস্থানের পর গ্রেফতার তিন যুবক সেখানে প্রবেশ করে। এরপর মনোয়ারা ও মৌসুমির আচরণ পাল্টে যায়। তারা তিন যুবককে ডিবি সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে অভিযোগ করে, মোজাফফর তাদের সঙ্গে অনৈতিক কাজের চেষ্টা করেছে। ওই যুবকরা তাকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে মানিব্যাগ থেকে ৩ হাজার ১৫০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ১ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য তাকে জিম্মি করে মারধর শুরু করে। মোজাফফর তার মালিক সাইফুলকে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা নিয়ে তাদের দেন। সাইফুল বিষয়টি আমাদের জানান। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে মোজাফফরকে উদ্ধার করি এবং পাঁচজনকে গ্রেফতার করি।’
সহকারী পুলিশ কমিশনার রাইসুল সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার পাঁচজনই পেশাদার প্রতারক। তারা কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয়ে, কখনো আবার অন্য কোনো কৌশলে প্রতারণা করে মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে নেয়। মনোয়ারা বেগমের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। তারপর টার্গেট করা ব্যক্তিকে মনোয়ারা বাসায় নিয়ে অনৈতিক কাজের গল্প তৈরি করে তুলে দেয় কথিত ডিবি পুলিশের হাতে।’