Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘গ্রেফতার এড়াতে বার বার স্থান পরিবর্তন করে ময়ূর-২’র মাস্টার’


১৩ জুলাই ২০২০ ১৮:০৭

ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীতে সদরঘাটের কাছাকাছি লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়ের করা মামলার দুই নম্বর আসামি অভিযুক্ত ময়ূর-২’র মাস্টার আবুল বাশার ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে যান। গ্রেফতারের এড়াতে তিনি বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে ছিলেন। তবে তার চেষ্টা সফল হয়নি। অবশেষে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হাতে গ্রেফতার হন তিনি।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র‍্যাব-১০’র অধিনায়ক মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।

বিজ্ঞাপন

কাইয়ুমুজ্জামান জানান, গ্রেফতার এড়াতে লঞ্চ দুর্ঘটনার পর থেকে আবুল বাশার গ্রামের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। তবে সর্বশেষ রোববার (১২ জুলাই) দিবাগত রাতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা ঘটনার পর থেকে আবুল বাশার রাজধানীতে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে। কিন্ত গ্রেফতারের ভয় তাকে পেয়ে বসে। পরে ঘটনার দিন রাতেই সে মাগুরায় নিজ বাড়িতে চলে যায়। সেখানে দুদিন অবস্থানের পর পাশের এক গ্রামে আরেকজনের বাড়িতে অবস্থান করে। এরপর ফরিদপুরের বোয়ালমারীসহ বিভিন্ন স্থান আত্মগোপনে থাকেন তিনি। পরবর্তী সময়ে সেখানেও জানাজানি হলে স্থান পরিবর্তনের জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। কিন্তু ঢাকায় আসার পর কেরাণীগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেককে রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নৌ পুলিশ। তার আগে গ্রেফতার হয় ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালাম।

গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের ৩৪ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, স্টাফসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে আসামি করা হয়।

গ্রেফতার ময়ূর-২ লঞ্চ মর্নিং বার্ড মাস্টার বাশার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর